বঙ্গ বিজেপিতে (BJP west bengal) বিদ্রোহ থামছেই না। প্রতিদিনই নিয়ম করে অস্বস্তি বাড়ছে বঙ্গ বিজেপিতে। অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলের নেতারাই। এ ব্যাপারে গতকাল কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির (BJP west bengal) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করবেন না। তাতে ফল ভালো হবে না। দিলীপবাবু আরও বলেন, বিজেপিতে অভিযোগ জানানোর জন্য নির্দিষ্ট কমিটি রয়েছে। কোনও অভিযোগ থাকলে সেই কমিটিকে জানাতে হবে। শৃঙ্খলা রেখেই তাদের দাবি তুলে ধরা উচিত। এবং দলও সেইমতো ব্যবস্থা নেবে। কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা রয়েছেন, তাঁরাই দেখবেন পুরো বিষয়টি। অযথা বিদ্রোহ করে দলকে অস্বস্তিতে ফেললে দলও তার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, সাবধান করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন – গোয়ায় ভাঙন বিজেপিতে – পদ্মশিবির ছাড়ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত
শুধু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েই বিদ্রোহ থেমে থাকেনি, শান্তনু ঠাকুর বিদ্রোহী নেতাদের এক করে সমান্তরাল সংগঠন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন। বঙ্গ বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি বিদ্বেষপোষণ করে তিনি জানিয়ে দেন তাঁদের লড়াইয়ে বিজেপির সবাই পাশে আছেন। বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদককে তৃণমূলের দালাল বলতেও পিছপা হননি তাঁরা। এরপর মতুয়াদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক এবং বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে বনভোজনের ব্যবস্থাও করেন তিনি। বঙ্গ বিজেপির এই জেরবার অবস্থায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। দিল্লিতে একপ্রস্থ বৈঠকের পর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, বিদ্রোহ করে খবরের থাকার চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না। বিজেপি এসব নাটক রেয়াত করবে না।
দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারির ২৪ ঘন্টার মধ্যে শোকজ চিঠি ধরানো হল জয় প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আপনার দ্বারা গত কিছুদিন ধরে পার্টি বিরোধী বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, মাননীয় রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার মহাশয়ের নির্দেশে আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হচ্ছে। কেন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা লিখিত ভাবে জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।”