হালিশহর (Halishahar) বিস্ফোরণ কাণ্ডে মৃত আরও এক। শুক্রবার সকালে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের দেহ। এখনও নিখোঁজ একজন। সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সিআইডি ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার, এদিন বিকেলে হালিশহর কোনা কলোনি এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। গঙ্গার ধারে জগন্নাথ ঘাটের সামনে বিস্ফোরণ ঘটে, ঘাটের সামনে জখম অবস্থায় পড়ে কয়েকজন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় একজনের। খোঁজ মিলছিল না দু’জনের। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, গঙ্গার পাড়ে মজুত থাকা বোমা আচমকা ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন – সাংবিধানিক ঐতিহ্য ধ্বংসকারী মোদি সরকার
শুক্রবার সকালে হালিশহর (Halishahar) বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায় সিআইডি, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও বম্ব স্কোয়াড। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চলে গঙ্গায়। এরপরই উদ্ধার হয় নিখোঁজ রোহিত চৌধুরীর দেহ। মৃতের বয়স ২০ বছর। ইতিমধ্যেই যুবকের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খোঁজ চলছে নিখোঁজ অপরজনের।
এদিকে বিস্ফোরণ নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মাটির তলায় মজুত করা ছিল প্রায় ১৭-১৮ টি বোমা। কোনওভাবে ফেটে যায় সেগুলি। কিন্তু সাধারণত আঘাত না লাগলে বোমা ফাটার কথা নয়। সেক্ষেত্রে মজুত করা বোমা সরানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ কথা বলছে স্থানীয়দের সঙ্গেও। বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, “বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং আশ্রিত দুষ্কৃতী বিট্টু জয়সওয়ালরা ওখানে বোমা মজুত করে রেখেছিল। সেখানেই এদিন বিস্ফোরণ হয়।” রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিট্টুকে।