সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : বিজেপির প্ররোচনায় বন্ধ হয়েছিল চা-বাগান। অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় খুলে গেল রামঝোরা চা-বাগান। কাজ ফিরে পেয়ে হাসি ফুটল শ্রমিকদের মুখে। শুক্রবার থেকে শুরু হল কাজ। বাগানে যেন ফিরল বসন্ত। ২৭ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে যুগ্ম শ্রম আধিকারিকের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মেলে সমাধানসূত্র। তারপরই ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে খুলে গেল ডুয়ার্সের মাদারিহাট ব্লকের রামঝোরা চা-বাগান। কাজও চালু হয়ে যায় রামঝোরা চা-বাগানে ।
বাগান খোলার খবরে উল্লাস ফিরে আসে শ্রমিক মহল্লায়। বকেয়া মজুরি আগামী তিনদিনের মধ্যে শ্রমিকদের মিটিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে মালিক পক্ষ। পাশাপাশি শ্রমিকদের সুবিধার জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে রাজ্য সরকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এতে স্থির হয়, মাসে দু’দিন শ্রমিকদের সমস্যার কথা মালিক পক্ষকে জানাতে পারবে শ্রমিকেরা। জরুরি কোনও বিষয় থাকলে সেটা আলাদা করে জানানো যাবে। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে শ্রমিক সংগঠন বাগান কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবে। এ-ছাড়াও প্রতিদিন দু’ বেলা পাতা তোলার কাজ
চলবে। এ-বিষয়ে আইএনটিটিইউ’র জেলা সম্পাদক উত্তম সাহা বলেন, ‘‘রামঝোরা বাগান খোলার জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম, প্রশাসন আমাদের আর্জি রাজ্যে পাঠিয়ে শ্রম দফতরের সহায়তায় বাগান খুলে দিল।
আরও পড়ুন-ইতিহাস থেকে আর এক ধাপ দূরে রাফাল
শ্রমিকরা কাজ ফিরে পাওয়ার আমরা খুশি।” উল্লেখ্য, ১৫ জানুয়ারি মালিক পক্ষ সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে রাতের অন্ধকারে বাগান ছেড়ে চলে যায়। সমস্যায় পড়ে প্রায় হাজার খানেক চা -শ্রমিক। খবর পেয়ে পর দিন সকালেই জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইকের নেতৃত্বে বাগানে পৌঁছে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল চা-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবে যাতে বাগান চালু হয় তা নিয়ে উদ্যোগ নেয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। অবশেষে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে পাওয়া গেল সমাধান।