সপ্তাহখানেক আগে করোনা সংক্রমিত হয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হন সুরজিত্ সেনগুপ্ত । দিন কয়েক পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বের করে আনা হয় তাঁকে। কিন্তু ফের কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সাত ও আটের দশকের শিল্পী ফুটবলার সুরজিত্ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। চিকিত্সার কোনও সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য নিয়মিত যোগাযোগও রাখা হচ্ছে হাসপাতালের সঙ্গে।
১৯৬৮ সালে রবার্ট হাডসন ক্লাবের হয়ে ময়দানে পা দেন সুরজিত্ (Surajit Sengupta)। সেখান থেকে পা দেন খিদিরপুরে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। খুব দ্রুত মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলে খেলে ফেলেন। দুই উইংয়ে তাঁর দুরন্ত ফুটবল ওই ময়দান মাতিয়ে দিয়েছিল। সবুজ-মেরুন হোক আর লাল-হলুদ, গোল করানো থেকে গোল করা— সবেতেই সিদ্ধহস্ত ছিলেন তিনি। বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি, ভারতের হয়ে এশিয়ান গেমসসাতের দশকে তাঁকে বাদ দিয়ে ফুটবল ভাবা যেত না। ১৯৮০ সালে মহামেডানকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।
আরও পড়ুন – দুয়ারে সরকারে এবার স্বাস্থ্য শিবির, উদ্যোগে রাজ্য সরকার
প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিত্ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta)ফের সঙ্কটজনক। তাঁকে আবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। শনিবার হাসপাতালের তরফে যে হেলথ বুলেটিন দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত থেকেই অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়েছে তাঁর। অক্সিজেনের মাত্রা ওঠা-নামা করতে শুরু করে। সেই কারণেই তাঁকে আবার ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুরজিতের চিকিত্সক টিম সবসময় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তাঁকে।