যে কোনও মৃত্যুই শোকের, কিন্তু এই ক্ষেত্রে লতা মঙ্গেশকর মহীরূহ। তাঁর মৃত্যু যে অপূরণীয় ক্ষতি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ৯২ বছর বয়স হয়েছিল। যে কোনও মানুষকেই চলে যেতে হয়। লতা মঙ্গেশকরের চলে যাওয়াটা নিশ্চিতভাবে একটা ইতিহাস। একটা যুগের পরিসমাপ্তি।
আরও পড়ুন-“সলিলদার গান আমার মতো ভালো কেউ গাইতে পারবে না” মজা করে বলেছিলেন লতাজি
বাংলা সংগীতে তাঁর অবদান ভোলার নয়। খুব যদি ভুল না করি তাঁর প্রথম রেকর্ড করা বাংলা গান ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে’।আমি সিন্থেসাইজার বাজায়। বাজানো শুরু করি এই গানটা দিয়ে। ফলে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে আমার যোগাযোগটা ওখান থেকে শুরু হয়। লতা-হেমন্তের গান, ডুয়েট গান শুনে আমরা বড়ো হয়েছি। কতো বিখ্যাত গান তিনি গেয়েছেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, নচিকেতা ঘোষ, গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার, সলিল চৌধুরির কথায় ও সুরে গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বাংলা ফিল্মে উত্তম-সুচিত্রা-সুপ্রিয়ার স্বর্ণযুগের তাঁর গান ছিল এককথায় যুগান্তকারী। বলিউডের কথা তো বলার কিছু নেই। প্রায় আট দশক ধরে তাঁর সঙ্গীত জীবন আবর্তিত হয়েছে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরে। তাঁর সঙ্গে অন্য ভাষার জ্ঞান তো আছেই।
আরও পড়ুন-সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকবার্তা
আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আমি চেয়েছিলাম বাংলার সর্বোচ্চ সম্মান তাঁকে দিতে। উনি খুশি হয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে জানিয়ে ফোন করেছিলেন। শারীরিক অবস্থার কারণে আসতে পারবেন না জানিয়েছিলেন। যদিও বলেছিলেন, আসতে পারলে খুব ভালো লাগতো। ২০১১ সালে আমাকে মা কালির ছবি দেওয়া একটি লকেট পাঠিয়েছিলেন।অন্য সব কিছু দিয়ে দিলেও এটি ওঁনার স্মৃতি হিসাবে রেখে দিয়েছি। আমি এই বিরাটয় সঙ্গীত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে আগামিকাল, সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছি।