সৌম্য সিংহ : সবটাই বিধাননগর পুরসভার আওতায়। তবুও দু’টি এলাকার মধ্যে বেশ কিছুটা চরিত্রগত ফারাক। সাবেক সল্টলেক এবং নয়া সংযোজিত এলাকা। উন্নয়ন এবং আরও উন্নত নাগরিক পরিষেবার দৌলতে এই দু’টি ভিন্নধারার এলাকার মধ্যে চরিত্রগত সমতা আনতে ও ভারসাম্য রক্ষা করতে এবারে সঙ্কল্পবদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। পুরনির্বাচনের প্রচারে রাজারহাট-নিউটাউন-গোপালপুর থেকে শুরু করে সাবেক সল্টলেকের নাগরিকদের দরজায় দরজায় ঘুরে এই প্রত্যয়ের কথাই শোনাচ্ছেন দলের প্রার্থীরা। এরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি শোনা গেল রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়। অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন দলের প্রার্থীদের জেতাতে, নির্বাচনী কৌশল স্থির করতে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, বিধাননগরে এবারে জয়ের রেকর্ড গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।
আরও পড়ুন – কলকাতায় সাড়া পাড়ায় শিক্ষালয়ের
বললেন, ‘‘সাবেক সল্টলেকের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন এলাকাগুলিকে সমস্যা-শূন্য করাই আমাদের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে।’’ ৬০-এর দশকের শেষাশেষি কিংবা ৭০-এর দশকের গোড়া থেকে মূল সল্টলেক বিকশিত হয়েছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। প্রতিফলিত হয়েছিল নগরায়ণের অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণা। কিন্তু পরবর্তীকালে সময়ের হাত ধরে সংযোজিত নিউটাউন, রাজারহাট, নারায়ণপুর, গৌরাঙ্গ নগর, প্রমোদগড়, বাগুইহাটি, কেষ্টপুর, তেঘড়িয়া, কৈখালি, জ্যাংড়া, চিনারপার্ক–সহ বিভিন্ন এলাকার অনেকটাই গ্রাম, মফস্বল কিংবা কলোনি থেকে নগরজীবনে উত্তরণের সাক্ষী। তাই জীবনাধারাতেও অনেকটাই ফারাক। কিছুটা পার্থক্য অর্থনৈতিক এবং শিক্ষার বুনিয়াদেও। নাগরিক জীবনে সমস্যার ধরনটাও ভিন্ন। সমাধানের পথটাও তাই আলাদা। তাছাড়া সল্টলেকে পরতে পরতে আভিজাত্যের ছোঁয়া। এখানে ব্লক-কালচার। আর সংযোজিত এলাকায় এখনও কোথাও পাড়া-কালচার। কোথাও বা আজও গ্রামীণ কিংবা কলোনি-জীবনের স্পর্শ। দ্রুত গড়ে উঠছে অত্যাধুনিক আবাসন, বিলাসবহুল অট্টালিকা। তবুও এখনও কিছু পকেটে রয়ে গিয়েছে নিকাশি সমস্যা। রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। যদিও গত ১০ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের দৌলতে বাম আমলে চাপিয়ে দেওয়া নাগরিক পরিষেবার দৈন্য থেকে এখন অনেকটাই মুক্ত সংযোজিত এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের আন্তরিকতায় এবারে সমস্যা-শূন্য হওয়ার প্রতীক্ষায় গোটা বিধাননগর।