প্রতিবেদন : করোনা সারাতে খাওয়ার ওষুধ বা ওরাল পিল আগেই এসেছে। কিন্তু করোনার প্রতিষেধক হিসাবে কোনও ট্যাবলেট বা ওরাল পিল ভ্যাকসিন এতদিন ছিল না। করোনা প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে। বুধবারই করোনার ন্যাজাল স্প্রে পা রেখেছে ভারতের বাজারে। এবার করোনার প্রতিষেধক হিসেবে আসছে করোনার ওরাল পিল ভ্যাকসিন। অর্থাৎ সুচ ফোটানোর আর কোনও ঝামেলা থাকছে না। ট্যাবলেটই ভ্যাকসিনের কাজ করবে। মার্কিন বিজ্ঞানীরা এই ওরাল পিল ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন-তদন্তে সিআইডি-ই
জানা গিয়েছে, মার্কিন সংস্থা ভ্যাক্সার্ট খুব শীঘ্রই এই ওষুধ বাজারে আনছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে এই ওরাল পিল ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা শুরু হবে। বেঙ্গালুরুর সংস্থা সিনজেন ইন্টারন্যাশনাল আমেরিকা থেকে ভারতে এই ওষুধ আনছে। ওই সংস্থাই ট্রায়ালের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে। মার্কিন সংস্থার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে দেশেই এই ওরাল পিল ভ্যাকসিন তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশের সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিকে এই ওষুধ তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। সেখানেই দেশের প্রথম ওরাল পিল ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে।
আরও পড়ুন-বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত ওয়ার্ডে জয়ী হল তৃণমূল
মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওরাল পিল ভ্যাকসিন ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের মাধ্যমেই শরীরে ঢুকবে। এক্ষেত্রেও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে হবে। প্রথম ট্যাবলেটটি খাওয়ার ২৯ দিন পর দ্বিতীয় ট্যাবলেটটি খেতে হবে। তাহলেই সম্পূর্ণ হবে ভ্যাকসিনের ডোজ। যারা ইনজেকশন নিতে কিছুটা ভয় পায় তাদের ক্ষেত্রে এই ওরাল পিল দারুণ কার্যকরী বলে মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। এই ওরাল পিল ভ্যাকসিনের নাম ভিএক্সএ-কোভ-২। ইতিমধ্যেই মার্কিন সংস্থা এই ওষুধটি তৈরির যাবতীয় উপাদান বেঙ্গালুরুর সিনজেন ইন্টারন্যাশনালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল আকারে খুব শীঘ্রই এই ভ্যাকসিন দেশের বাজারে আসবে।