গোয়ায় বিধানসভার প্রচারে গিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোেপাধ্যায়। বিজেপি – কংগ্রেসের মধ্যে গোপন আঁতাত থেকে রাজনৈতিক কারণে তদন্তকারি সংস্থাকে ব্যবহার করা কোনোও কিছুই এদিন বাদ যায়নি তাঁর বক্তৃতায়। বললেন, ইডি – সিবিআই অন্য কোনো দলের কাউকে ডাকে না। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদেরই ডাকে। আমাকেও দশবার নোটিশ পাঠিয়েছে। ভেবেছে এভাবে নোটিশ পাঠালে চুপ করে যাব। ভয় পেয়ে যাব। যত আঘাত করবে, ততই আমরা জমি থেকে আরও বেশি শক্তি নিয়ে লড়াই করব। এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না।
আরও পড়ুন – গোয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের
অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এদিন গোয়ায় দুটি সভা করেন। প্রথমটি চার্চ ময়দানে। দ্বিতীয়টি আলডোনায়। দুটি সভাতেই বিজেপি ও কংগ্রেসের আঁতাত ঘুরে ফিরে আসে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতায়। কংগ্রেস সুযোগ পেয়েও বিজেপির হাতে নিজেদের বিধায়কদের তুলে দিয়েছে। গত বিধানসভায় কংগ্রেস সরকার তৈরি করতে পারতো গোয়ায়। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে গোপনে হাত মিলিয়ে গোয়ার সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে৷ তাই এই কংগ্রেসকে একটাও ভোট নয়। আর বিজেপিকে তো দেখলেন। আর ডাবল ইঞ্জিনের সরকার থাকা সত্বেও গোয়ার জন্য বিজেপি কিছুই করেনি। দেশের জন্যও কিছু করেনি। বিজেপিকে দেশ থেকেও বিতারিত করতে হবে। বিজেপি সরকারের আমলে সীমাহীন দুর্নীতি, বেকারত্ব গোয়াকে পিছনের সারিতে নিয়ে গিয়েছে। একথা বলে অভিষেক সরাসরি অভিযোগ করেন, গোয়ায় একজন বেকার যুবককে চাকরি পেতে হলে মন্ত্রীকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সরকার তৈরি হলে গোয়ার সমস্ত শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ করা হবে।
বিজেপিকে কার্যত হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস জোড়া ফুলের দল। আমাদের প্রতীকে ফুল ও ঘাস দুইই রয়েছে। যত কাটবে তত বেশি করে গজাবে। তাই ধমকে চমকে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।