সংবাদদাতা, কুলতলি : বাদাবনে তার টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। খবর যায় বন দফতরে। বুধবার কুলতলির (Kultali) পেটকুলচাঁদ ও সাবুর আলি কাটায় তখন থেকেই শুরু হয় বাঘের খোঁজ। এরপর রায়দিঘি রেঞ্জের অন্তর্গত কুলতলি (Kultali) বিটের বনকর্মীরা পায়ের ছাপ অনুসন্ধান করতেই তার সাক্ষাৎ মেলে। গোসাবায় বাঘ ধরতে হিমশিম খেয়েছিলেন বনকর্মীরা। তাই এবার আর কোনওরকম ঝুঁকি নেননি তাঁরা। দেখা মিলতেই চটজলদি খাঁচাবন্দি করা হয় বাঘটিকে। যেখানে যেখানে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল সেই সমস্ত অঞ্চল নাইলনের জালের সঙ্গে স্টিলের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। বন দফতরের এডিএফও অনুরাগ চৌধুরি জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় একটি লোহার খাঁচা পাতা হয়। তার মধ্যে ছিল ছাগলের টোপ। ভোর ৩টা নাগাদ সেই ছাগলের লোভেই ফাঁদে পা দেয় দক্ষিণরায়। বয়স আনুমানিক ৪-৫ বছর। ধরা পড়তেই শুরু হয় হুঙ্কার। বনকর্মীরা নিশ্চিত হন অবশেষে বাঘ বন্দি। এরপর দ্রুত সেই খাঁচা-সহ বাঘটিকে নিয়ে বন দফতরের বোটে চাপিয়ে রওনা দিয়ে দেওয়া হয় একেবারে সুন্দরবনের বন দফতরের বনিক্যাম্পের দিকে। বন দফতরের অনুমান, আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকেই বাঘটি কোনওভাবে বেরিয়ে চলে এসেছিল পেটকুলচাঁদ ও সাবুর আলি কাটা এলাকার দিকে। বৃহস্পতিবার ধরা পড়া ওই বাঘের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন পশু চিকিৎসকরা। এরপরই বন দফতরের শীর্ষকর্তাদের নির্দেশমাফিক বাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।