অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ : বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মা গৃহবধূ । দাদা কলেজ পড়ুয়া। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসার। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের এই পরিবারের ধন্যি মেয়ে জসমিন সুলতানা। ইটাহার গার্লস হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অনেক দূর লেখাপড়া করার স্বপ্ন তাঁর। পাশাপাশি খেলাধুলাতেও পারদর্শী। অনটনের সংসারে তাঁর একরাশ স্বপ্ন যখন ম্লান হতে বসেছিল, তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী (Kanyashree) সবুজসাথী প্রকল্পের সুবিধা আবার জাগিয়ে তুলেছিল মেয়েটিকে।
আরও পড়ুন – জয়নগরে বিধায়কেরা বাড়ি বাড়ি প্রচারে
নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে এই প্রকল্পগুলি। তাই ম্যারাথন দৌড়ে জেলাজুড়ে এই প্রকল্পের প্রচারের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন কন্যাশ্রী (Kanyashree)। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মতো আরও পাঁচটা মেয়েকে জানাতে চাই রাজ্য সরকারের প্রকল্পের এই সুবিধাগুলির বিষয়ে।” দার্জিলিং জেলার বাগডোগরা থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রান্তিক ব্লক ইটাহার পর্যন্ত দৌড়বেন জসমিন। সহযোগিতা করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ। জসমিনের ইচ্ছে, আগামীতে সারা দেশে দৌড়ে সরকারি প্রকল্পের প্রচার করবেন। বাবা সুলতান মহম্মদ কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মা পিঙ্কি বিবি গৃহবধূ। দাদা দিলখুশ মহম্মদ ইটাহার কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া, দিদি সাবিনা সুলতানা একটি নার্সিং কলেজে পাঠরতা।
জলমিন বলেন, ‘‘প্রথমে দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলা জুড়ে সরকারি এই সাফল্যের প্রচারাভিযান করার ইচ্ছে ছিল। পরে দার্জিলিং জেলার বাগডোগরা থেকে শনিবার সকালে ম্যারাথন দৌড় শুরু করার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছি। প্রথম রাত চোপড়া বা তার আশপাশে কাটাব। পরের দিন, রবিবার রাত কানকি বা তার আশপাশে কাটাব। পরের দিন সোমবার রায়গঞ্জ কর্ণজোড়ায় থাকব। এবং শেষের দিন রায়গঞ্জ থেকে দৌড়ে ইটাহার পৌঁছব। আগামী দিনে সারা ভারত দৌড়ে প্রকল্পের প্রচার চাই।”