সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : দীর্ঘ কয়েক বছরের খরা কাটিয়ে এবার সাঁতরাগাছি (Santragachi) ঝিলে রেকর্ড সংখ্যক পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছে। গত দু’বছর ধরে হাওড়া পুরনিগমের উদ্যোগে সাঁতরাগাছি ঝিলের সংস্কারের কাজ হয়েছে। এবার হাতে-হাতে তারই ফল মিলেছে। এমনটাই মনে করছেন পক্ষিপ্রেমী থেকে কর্পোরেশনের আধিকারিকরা। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে এবছর শীতের মরশুমে ঝাঁকে-ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি উড়ে এসেছে সাঁতরাগাছি ঝিলে। এরই সঙ্গে ৭ দিনে প্রায় ১০ হাজার পরিযায়ী পাখি এসেছে সাঁতরাগাছি ঝিলে। যার মধ্যে হুইসলিং ডাক-সহ বেশ কয়েকটি হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের পাখিও রয়েছে।
আরও পড়ুন – ফের ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস, এবার মোদির রাজ্যে
পক্ষিবিশারদেরা বলছেন গত কয়েক বছরে এত পরিযায়ী পাখি সাঁতরাগাছি (Santragachi) ঝিলে আসেনি। হাওড়ার পুর কমিশনার ধবল জৈন বলেন ‘গত দু’বছর ধরে ঝিলের পরিবেশগত উন্নতি ঘটাতে আমরা টানা কাজ করেছি। ঝিল সংস্কারের কাজে বেসরকারি সংস্থাকেও লাগানো হয়েছিল। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ছুঁই-ছুঁই পরিযায়ী পাখি এখানে এসেছে। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বাধিক। আমাদের সবার নিরলস চেষ্টার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।’ স্বভাবতই পরিযায়ী পাখি দেখতে পক্ষিপ্রেমিকেরা সাঁতরাগাছি ঝিলের পাড়ে আসছেন। তাঁরা বলছেন, অনেকদিন পরে এবার এত সংখ্যক পরিযায়ী পাখি আসতে দেখলাম। পরিযায়ী পাখিদের আসার উপযোগী করেই গড়ে তোলা হয়েছে ঝিলের পরিবেশ। ঝিলে পরিযায়ী পাখির আগমনের জন্য কচুরিপানার স্তূপও চাই আবার সেই সঙ্গে জলও চাই। এক্ষেত্রে ঠিকঠাক সামঞ্জস্য রেখেই ঝিল সংস্কারের পুরো কাজটা হয়েছে। তার ফলেই এবার সর্বাধিক সংখ্যক পরিযায়ী পাখি সাঁতরাগাছি ঝিলে এসে ডেরা করেছে। হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন ‘বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের নির্দেশে আমরা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মতভাবে সাঁতরাগাছি ঝিল সংস্কারের কাজ করেছি। যার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এ-বছর এত পরিযায়ী পাখি আসায় পক্ষীপ্রেমিকেরাও স্বভাবতই খুশি।’