সৌমেন্দু দে, সিউড়ি : দুবরাজপুর পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। মঙ্গলবার থেকেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন, বিদায়ী পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডের দাবি, নির্বাচনে মাত্র কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোনও প্রকারে মুখরক্ষা করতে পেরেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-শীতের বিদায় শুরু
উল্লেখ্য, দুবরাজপুর পুরসভার ১১টি আসনে কোনওক্রমে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি, কিন্তু পরে ৪ জন নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন সাতটি আসনে তারা লড়াইয়ে টিকে আছে। বীরভূম জেলার পাঁচ পুরসভার ৯২টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বসাকুল্যে ২১টি আসনে নিজেদের প্রার্থীদের ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। যার জেরে বিজেপির রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে পরে যাবে বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর মন্তব্য, বিজেপি প্রার্থী দিতে পারছে না, মানুষের জনসমর্থন হারাচ্ছে! এর দায় কি তৃণমূলের? নির্বাচনে লড়াই করার হিম্মত যদি না থাকে, তাহলে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কী দরকার ছিল!
আরও পড়ুন-অতিথি নিবাসে ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু
পোড়খাওয়া এই নেতার দাবি, কাপুরুষের মতো নাম তুলে নিয়েছে বিজেপি। অথচ তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। তাঁর সংযোজন, বিজেপি প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে তৃণমূল, এমন একটাও ছবি দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। সিপিএম-কংগ্রেস মনোনয়ন জমা দিল, কই তারা তো নাম প্রত্যাহার করেনি। তাঁর কথারই প্রতিধ্বনি মিলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্যে।
তাঁদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী জিতে যাওয়ায় দুবরাজপুর পুরএলাকার সাধারণ মানুষ অত্যন্ত বিপদে পড়েছে! কারণ, বিজেপির বিধায়ক অনুপ সাহা মানুষের কোনও উপকারে আসছেন না। ছোটখাটো কাজের জন্যও সিউড়িতে যেতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের কাছে। সামগ্রিকতার বিচারে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের অনুমান, বিজেপি হঠানোর শপথ প্রায় নিয়েই ফেলেছেন দুবরাজপুরের মানুষ। এখন কেবল ইভিএমে তার প্রতিফলন ঘটানোর অপেক্ষা।