সুমন তালুকদার, বনগাঁ : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমূল বদলে গিয়েছে সীমান্ত শহর বনগাঁ। রাজ্য সরকার ও বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে উন্নয়নের ঠিকানা এখন প্রাচীন এই জনপদ। সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব যেমন রয়েছে এই শহরের, তেমনই রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল। সমস্যা ছিল বহু। তবে বিগত তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বনগাঁকে সাজিয়ে তুলেছে অনুপম রূপে। ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে উন্নত নাগরিক পরিষেবা।
আরও পড়ুন-শীতের বিদায় শুরু
এলাকাবাসী পাচ্ছেন পরিস্রুত পানীয় জল। শহরটি হয়েছে যানজটমুক্ত। বনগাঁর রূপবদল সম্পর্কে বিদায়ী পুরবোর্ডের মুখ্য প্রশাসক গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, যানজটের সমস্যার পাশাপাশি ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগ ঘটাতে ৪২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বনগাঁ-চাকদা রোডের ২৮ কিলোমিটার চার লেন করার কাজ প্রায় শেষ। রাস্তার পাশেই ১০০ বিঘার উপর জমি পার্কিং জোনের জন্য চিহ্নিতকরণ হয়েছে। বাড়ি বাড়ি আর্সেনিকমুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গায়ত্রী জলপ্রকল্প চালু করা হয়েছে। অগুনতি ঢালাই ও পিচের রাস্তা, ড্রেন তৈরি করা হয়েছে। ৪ বিঘা জমির উপর ভূপেন শেঠ সিটি কর্মতীর্থ গড়ে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দুবরাজপুরে বিজেপি হঠানোর শপথ
আপাতত ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্বয়ংসিদ্ধা গ্রুপের মেয়েদের ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হস্তশিল্পসামগ্রী বিক্রির আউটলেট করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিবর্ধিত করে সেখানেই বনগাঁর ব্যবসায়ীদের জায়গা দেওয়া হবে। বনগাঁর প্রসিদ্ধ শাড়ির হাটটিও ওখানেই করা হবে। মতুয়া সমাজের বড়মায়ের স্মৃতির উদ্দেশে বীণাপাণি স্মৃতি সেতু-সহ দুটি ব্রিজ করা হয়েছে। উন্নয়নের এই বিপুল কর্মযজ্ঞে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে গুরুত্ব পেয়েছে সৌন্দর্যায়ন। ৩৯ লক্ষ টাকা খরচে গড়া হয়েছে কলকাতার অনুকরণে ৭৫ ফুট উঁচু, ১১ ফুট চওড়া বিশ্ববাংলা ক্লক টাওয়ার। এছাড়াও ১২ বিঘা জমিতে মাথা তুলেছে ৭১ লক্ষ টাকার প্রকল্প- অগ্নিকন্যা বিনোদন পার্ক, পরিতোষ স্মৃতি পার্ক।