দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর দীর্ঘদিনের চালু রীতিনীতিকে তোয়াক্কা না করাই প্রথমাবধি উদ্দেশ্য উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। রবীন্দ্র-ঐতিহ্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করাই একমাত্র লক্ষ্য তাঁর। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাই একের পর এক তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজের অস্তিত্ব জাহিরের পাশাপাশি গেরুয়াকরণ জারি করতে উঠেপড়ে লেগেছেন সর্বস্তরের বিরাগভাজন উপাচার্য। এ কারণে বারবার ছাত্রছাত্রী থেকে অধ্যাপক, আশ্রমিক, বিদগ্ধ ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
আরও পড়ুন-‘বাংলা মোদের গর্ব’ মেলাচ্ছে সংস্কৃতি ও শিল্পকে
বিশ্বভারতীর বকলমে তাঁর নতুন নির্দেশের বিরুদ্ধে তাই বৃহস্পতিবার ফের মিছিল ও বিক্ষোভে পা মেলালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ও বিভিন্ন সেমেস্টারের পড়ুয়ারা। কোনওরকম রাজনৈতিক রং ছাড়াই, নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানার ছাড়াই সেই মিছিল থেকে স্লোগান উঠল : উপাচার্য হুঁশিয়ার! বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। মাইকে-স্লোগানে-আওয়াজে মুখরিত হল বলাকা গেটের সামনের প্রাঙ্গণ। যথারীতি বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি।
আরও পড়ুন-
একমুখী আন্দোলনে শামিল ছাত্রছাত্রী ঐক্যের সোমনাথ সাউ, বিশ্বভারতী টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য দু’জনেই বলেন, মূলত তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই আন্দোলন। এক, অবিলম্বে সমস্ত হস্টেল খুলতে হবে। হস্টেল ছাড়া অফলাইন ক্লাস গরিব পড়ুয়াদের কাছে কষ্টসাধ্য। দুই, অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া চলবে না। নতুন ছাত্ররা সেক্ষেত্রে অসুবিধার মধ্যে পড়বেন। তিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পিছোতে হবে। মীনাক্ষী বলেন, আমরা দু’দিন দেখব। যদি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও সদর্থক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, তাহলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা জোরালো আন্দোলনে নামবে।