ব্যুরো রিপোর্ট : দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন। পুরভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে যে দলীয় কর্মীরা দাঁড়াবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ, এঁদের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, একই সঙ্গে সাধারণ মানুষও ওঁরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবে পরিচিত হওয়ায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তারপরেও অনেকে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তই নেয় দল (TrinamoolCongress) । গতকালই পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তারপর থেকেই জেলায় জেলায় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০ জেলায় ৭০ জন নির্দলকে বহিষ্কার করেছে দল। বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার তিনজনকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সহ-সভাপতি চন্দ্রনাথ সিনহা।
আরও পড়ুন – পথে আইনজীবীরা
বহিষ্কৃতরা হলেন ১, ৬ এবং ১০ এই তিন ওয়ার্ডের ফকির বাউড়ি, ভূতনাথ মণ্ডল ও নুর মহম্মদ। পুরুলিয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে আটজনকে। জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া জানিয়েছেন, ২ নং ওয়ার্ডের দোলন ঘোষ ও দেবাশিস চক্রবর্তী, ৩ নং ওয়ার্ডে দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, ৬ নং ওয়ার্ডের মৌসুমী ঘোষ রয়েছেন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রাক্তন পুরপ্রধান সামিম দাদ খানও রয়েছেন। বাঁকুড়ায় তিন পুরসভার বহিষ্কৃত ১০ জন। তার মধ্যে বিষ্ণুপুর পুরসভার পাঁচ এবং বাঁকুড়ার দু’জন রয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের ছয় নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এঁরা স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রীরা নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানোয় রেয়াত করা হয়নি স্বামীদেরও। এঁরা হলেন ৬ নং ওয়ার্ডের গৌতম ও গার্গী তালুকদার, ১৩ নম্বরের মায়া ও স্বপন মজুমদার এবং ১০ নম্বরের পুলক ও ঝুমা মিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরে বহিষ্কার করা হয়েছে পাঁচজনকে। তার মধ্যে তমলুকের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ভানুপদ সাহাও রয়েছেন। পুরুলিয়া ও ঝালদার আট বিক্ষুব্ধকে তাড়ানো হয়েছে। কোচবিহার থেকে চারজনকে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও খড়্গপুর থেকে ২০ জনকে। নদিয়া জেলা থেকে তাড়ানো হয়েছে ২২ জনকে।
এই কড়া পদক্ষেপে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় অনেকেই পিছু হটছেন বলে জানা গিয়েছে। দলের পক্ষে জানানো হয়েছে, যাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের লিফলেটের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে হবে, তাঁরা লড়ছেন না।