বিধানসভায় মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনে একথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার বিরুদ্ধে পাল্টা সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন বিজেপির পারিষদিও দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিজেপির তরফে সুপ্রিমকোর্টে বিজেপির তরফে যে আবেদন করা হয়েছিল তাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শুক্রবার আদালতে জোড়া ধাক্কা খেল বিজেপি।
আরও পড়ুন – তৃণমূলের সমর্থনে মতুয়াদের শোভাযাত্রা
সুপ্রিমকোর্টে শুভেন্দুর তরফে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার আবেদনের শুনানি ছিল শুক্রবার। তবে সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেন শীর্ষ আদালতের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারির তরফে আইনজীবী সিএস বিদ্যানাথন জানান, এই মামলায় বিধানসভার স্পিকার সম্পূর্ণ ‘স্বেচ্ছাচারী’ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আদালতের তরফে জানানো হয়, যদি স্পিকারের রায় মামলাকারীদের পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে তারা হাইকোর্টে এবিষয়ে আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টকে এই মামলার শুনানি করতে হবে এক মাসের মধ্যে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়ী বিধায়ক মুকুল রায়কে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল শিবিরে। এরপর রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যানও নিযুক্ত করা হয়। যার জেরে প্রতিবাদ করে বিজেপি। দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক-পদ খারিজের জন্য বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যদিও মুকুলের দলত্যাগ নিয়ে উপযুক্ত প্রমাণ বিজেপি পেশ করতে না পারায় অধ্যক্ষ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন মুকুল বিজেপিতেই রয়েছেন। শুনানি-পর্বে মুকুল এবং তাঁর আইনজীবীরাও বরাবরই দাবি করে আসেন যে, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বিজেপিতেই রয়েছেন। বিধানসভার স্পিকারের তরফে রায় ঘোষণার পর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সরাসরি সুপ্রিমকোর্টে যান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সেই মামলা খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।