আলিপুরদুয়ার: প্রশাসনিক তৎপরতা ও আন্তরিকতার নজির গড়লেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন। দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যেই সমস্ত গ্রামপঞ্চায়েতে দিনক্ষণের তালিকা এসে পৌঁছেছে।
এবারে দুয়ারে সরকার ও অন্য প্রকল্পের পাশাপাশি, মূল আকর্ষণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নামক অভিনব প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে তফসিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জাতিগত শংসাপত্র থাকতে হবে। অনেক মহিলাই আগের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সময় জাতিগত শংসাপত্রের আবেদন করেছিলেন। তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দফতর শংসাপত্র তৈরি করে ব্লকে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেগুলি প্রাপকদের হাতে দ্রুত না পৌঁছলে তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।
তাই বৃহস্পতিবার কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন নিজেই শংসাপত্র নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিলি করলেন। বিধানসভা ভোটের আগে এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট আলোড়ন ফেলেছে। বিডিও জানালেন, ‘দুয়ারে সরকারে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য প্রচুর আবেদন পড়বে বলে আশা রাখছি। তাই এই তফসিলি জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত ব্লকের কোনও মহিলা এই শংসাপত্রের কারণে যেন ওই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, তাই দুয়ারে সরকারের আগেই সবার হাতে শংসাপত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’