ধর্মশালা, ২৫ ফেব্রুয়ারি : নীল আকাশের বুকে বিস্তৃত পাহাড়। পেঁজা তুলোর মতো আকাশে পাল তুলে দিয়েছে মেঘের দল। হিমাচল প্রদেশের কাংরা জেলার এইচপিসিএ গ্রাউন্ডের এটাই ট্রেডমার্ক।
ইতিমধ্যেই ধর্মশালা মাঠ ক্রিকেট দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছে। ক্রিকেট আর প্রকৃতির অপরূপ মেলবন্ধনে। শনিবারের ভারত-শ্রীলঙ্কা টি-২০ ম্যাচের উপর অবশ্য বৃষ্টির ভ্রুকুটি রয়েছে। পরদিন ফের ম্যাচ। সেদিন আকাশ পরিষ্কার থাকার কথা।
আরও পড়ুন-চুক্তির মধ্যে থেকেও মুখ খুললেন কেন? ঋদ্ধিমানকে শো-কজ করতে পারে বোর্ড
লখনউতে প্রথম টি-২০ ম্যাচে দাসুন শনাকার শ্রীলঙ্কা দাঁড়াতেই পারেনি। ৬২ রানে হেরে আপাতত তাঁরা ০-১ পিছিয়ে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা সব বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছে। বোলাররা ঈশান-শ্রেয়সদের সামনে নাজেহাল হয়েছেন। ব্যাটসম্যানরাও ভারতীয় বোলিংয়ের মোকাবিলা করতে পারেননি। একমাত্র আসালাঙ্কা কিছুটা লড়াই করেছেন। কিন্তু তাতে ম্যাচের ফল বদলায়নি।
ঋতুরাজ গায়কোয়াড় বুধবার ম্যাচের আগে কবজিতে ব্যাথা অনুভব করায় তাঁর জায়গায় অভিষেক হয়েছিল দীপক হুদার। তবে ম্যাচে তাঁকে বিশেষ কিছু করতে হয়নি। একসঙ্গে সেদিন দলে ছ’টি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। বুমরা, জাদেজার ফেরারই কথা ছিল। তবে বিশ্বকাপের আগে রোহিত-দ্রাবিড় এখন যতটা পারেন দেখে নিচ্ছেন। শনিবারও কি পরীক্ষা চলবে?
আরও পড়ুন-দলগঠনের প্রস্তুতি শুরু ইস্টবেঙ্গলে, প্রাক্তনদের সঙ্গে বৈঠকে ক্লাব কর্তারা
ধর্মশালায় এটা ভারতের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ। এর আগে দুবারই জিতেছে ভারত। রোহিতের জন্য এটা পয়া মাঠও। এখানে একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে সেঞ্চুরি (১০৬) আছে তাঁর। রাতের দিকে এখানে তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রিতে নেমে যাচ্ছে। যার প্রভাব উইকেটের উপরেও পড়বে। এখানে গড় রান তাই ১৬০। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, আগে যারা ব্যাট করেছে, তারা বেশি জিতেছে ধর্মশালায়।
প্রথম ম্যাচে জেতার পর রোহিত তাঁর দলের খেলায় সন্তুষ্ট। তবে এই শ্রীলঙ্কা কোনও প্রতিরোধই দেখাতে পারেনি। দলের একমাত্র তারকা হাসরাঙ্গা চোট পেয়ে বাইরে। শনাকার তাই হতাশ হওয়ার অনেক কারণ আছে। আগেরদিন ম্যাচের পর তাঁদের প্রাক্তন অলরাউন্ডার রাসেল আর্নল্ড বলছিলেন, ভারতের নতুন মুখেরা সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগাচ্ছেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বেলায় সেটা হয়নি। এখানেই পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার জিতলে সিরিজ রোহিতের হাতে চলে আসবে। তাহলে আর রবিবারের ম্যাচের গুরুত্ব থাকবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেলায় এরকমই হয়েছে। শ্রীলঙ্কা কি ব্যতিক্রম হবে? উত্তর পাওয়া যাবে আর কয়েক ঘণ্টায়।