দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : স্বৈরাচারী উপাচার্য পড়ুয়াদের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে হস্টেল-ক্যান্টিন খোলা, অফলাইনের বদলে অনলাইন পরীক্ষা এবং বিশ্বভারতী বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পিছনো— এই তিন দফা দাবি নিয়ে কর্মসচিব আশিস আগরওয়ালকে ঘেরাও করেছেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন-পর-পর চারবার দেশের সেরার শিরোপা পশ্চিমবঙ্গের, বাংলার রেকর্ড ভাঙছে বাংলা
ঘেরাও ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। মঙ্গলবার ভোরের দিকে পড়ুয়াদের নিদ্রাচ্ছন্ন অবস্থার সুযোগে আশিস হামাগুড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর জামা টেনে ধরে আটকানো হয়। পালাতে না পেরে কর্মসচিব বলেন, ‘আমি শিবের ভক্ত। বাড়ি যেতে দিতে হবে।’ পড়ুয়ারা জানান, ধর্মাচারণে বাধা দেওয়া হবে না। পুজোর সমস্ত উপকরণ এনে দেওয়া হবে। এরপরই মাথা ঠুকতে থাকেন তিনি। মাটিতে গড়িয়ে পালাবার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষকেও ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন-হার্দিককে ধন্যবাদ দিয়ে নাম তুললেন জেসন আইপিএল ২০২২
উপাচার্যের নির্দেশে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকাল নটায় সমস্ত অ্যাকাডেমিক এবং নন-অ্যাকাডেমিক সদস্যকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে বলা হয়। কেন, তার উল্লেখ নেই। বেশ কিছু শিক্ষক-কর্মী হাজির হয়ে, কারও দেখা না পেয়ে, বিরক্ত হন। তাঁরা পড়ুয়াদের সমর্থনও করেন। ছাত্রছাত্রী ঐক্যের পক্ষে সোমনাথ সৌ এবং বিশ্বভারতী টিএমসিপি সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, কোভিড প্রটোকলের কথা মাথায় রেখে কর্মসচিবের ঘর খালি করে দিয়েছি। উনি অফিসিয়াল কাজ করুন। আমাদের তিনটি দাবি মানতে হবে। না মানলে কর্মসচিব, আধিকারিক কাউকে বের হতে দেব না।