মণীশ কীর্তনীয়া: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব দেবের আয়ু কি তবে শেষ হয়ে আসছে! গদি বাঁচাতে শুধু সুনিল দেওধর এ ভরসা নেই। এবার দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডারও দ্বারস্থ বিপ্লব দেব । দিল্লিতে এসে বিপ্লব দেব প্রথমে দেখা করেন একদা সতীর্থ সুনিল দেওধর এর সঙ্গে। যাকে তিনি ক্ষমতায় এসে প্রথমেই ত্রিপুরা থেকে তাড়িয়ে ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার টলোমলো। তাই শুধু সুনিল দেওধার এ ভরসা না করে এবার সরাসরি ডাইভ দিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে। ছিলেন সংগঠন মহামন্ত্রী বিএল সন্তোষ, বিজেপি ত্রিপুরা প্রভারি বিনোদ সোনকার এবং বিজেপি ত্রিপুরা সভাপতি মানিক সাহা। ত্রিপুরা এবং দিল্লিতে গুঞ্জন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব দেবকে আর চাইছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। উল্টো শিবিরের বলে পরিচিত সুদীপ রায় বর্মন তিনি বহুবার দিল্লি ত্রিপুরা যাতায়াত করেছেন। গুটি সাজিয়েছেন তার মতো করে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার জন্য।
আরও পড়ুন- সাতসকালে দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো লাইনে ধস, নাকাল যাত্রীরা
যদিও বিপ্লব দেব শিবিরের বক্তব্য তার ওপরই আস্থা রাখছে দল। উল্টোদিকে সুদীপ রায় বর্মন শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। তিনি প্রায় মন্ত্রিসভা বানিয়ে ফেলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এরপর রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জোরালো আন্দোলন প্রতিবাদ মিছিল মিটিং। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস ঝাঁপিয়ে পড়েছে। রোজ সংসদ মন্ত্রী-নেতারা যাচ্ছেন সেখানে। এতেই অশনিসংকেত দেখছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- আধুনিক প্রযুক্তিতে মাছ-মাংসের ব্যবসায় নামছে বেনফিশ
এই পরিস্থিতিতে বিপ্লব দেব কতটা সামাল দিতে পারবেন সেটা খতিয়ে দেখতে চাইছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এই অবস্থায় বিপ্লব দেব বুঝতে পারছেন পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। তাই এই দিল্লি দরবার। এতে কাজ হবে কিনা বোঝা যাচ্ছে না কিন্তু এক্ষুনি তিনি বুক বাজিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না যে তিনিই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থেকে যাচ্ছেন। স্বাধীনতা দিবসের পরপরই বিজেপি কয়েকটি রাজ্যে তাদের সাংগঠনিক রদবদল করতে পারে বলে খবর। বদল করা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীও। এই অবস্থায় তাই গদি বাঁচাতে দিল্লিতে একবার সুনিল দেওধার একবার জেপি নাড্ডার কাছে ধরনা দেওয়া ছাড়া আর উপায় কী বিপ্লব দেবের।