দেবর্ষি মজুমদার, সিউড়ি : জেলার একটি বিধানসভায় জিতেছিল বিজেপি। গত নির্বাচনে ১৪ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশে পৌঁছয়। পুরসভার ১১টি ওয়ার্ডেই হারের মুখ দেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। সেই পাশা উল্টে গেল। ১৬টি ওয়ার্ডেই জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির খাতা শূন্য। কেন এমন হাল ? ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার বক্তব্য, ‘মানুষ পছন্দ করেনি। তাই বিজেপি হেরেছে।’
আরও পড়ুন – রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রীর
বিধানসভা ভোটে হারের বদলা হিসেবে পুরভোটে বিজেপিকে সেই দুবরাজপুরে পর্যুদস্ত করে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বললেন, ‘এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়।’ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দুবরাজপুর বিধানসভায় ১৪ শতাংশ থেকে এগিয়ে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৩ শতাংশ। বিধানসভায় দুবরাজপুর পুর এলাকায় তৃণমূল বিজেপির থেকে ৩০৬ ভোটে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে ছিল ১১টি ওয়ার্ডে। তারপর সংগঠনের দায়িত্ব হাতে নেন অনুব্রত। মানিক মুখোপাধ্যায়কে শহর তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুরপ্রশাসক ছিলেন পীযুষ পান্ডে। সঙ্গে দলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। খেলার মাঝমাঠে ত্রিমুখী এই আক্রমণে দুবরাজপুরে দিশেহারা হয়ে পড়ে বিজেপি। ক্ষোভ জমতে থাকে বিধায়ক অনুপ সাহার বিরুদ্ধে। যিনি এখনও দুবরাজপুরের ভোটার পর্যন্ত হননি। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটল পুর নির্বাচনে। বিজেপির নগর সভাপতি থেকে জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায়-সহ অনুগামীরা একে একে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান। যার জেরে প্রতিরোধ তো দুরস্ত্ পুরোপুরি পর্যুদস্ত হয় বিজেপি।
শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যেখানে বিধানসভায় ২০০ ভোটে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেখানে এবার পেয়েছে মাত্র ২৬টি ভোট। সিপিএম ১৬টি। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড যেখানে ১১০০ ভোটে বিজেপি এগিয়েছিল এবার পেয়েছে মাত্র ৩৫৮টি ভোট। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়েছিল প্রায় ৩৭০টি ভোটে এবার মাত্র ১৪৫টি। সাকুল্যে শহরের ১৬টি ওয়ার্ডে মাত্র ১৭০৭টি ভোট পেল বিজেপি। যা পুরভোটের হিসাবে মাত্র ৮ শতাংশ। অন্যদিকে, অঙ্কের হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস ৬৯ শতাংশের বেশি।