প্রতিবেদন : ভূমিক্ষয়ের মতো বিজেপিতেও ক্ষয় শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদ্রোহী বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দলের চিন্তন বৈঠক নিয়ে সমালোচনা নয়, প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। দলের আর এক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় চিন্তন বৈঠকে বলেছেন, সন্ত্রাসের নামাবলি আর পরবেন না, কাজ করতে হবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের। এরপর শনিবারও ফের মুখ খুলে দলীয় নেতৃত্বকে নিশানা করেন লকেট। রবিবার সকালে লকেটকে পাল্টা দেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মুখ খোলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পুরভোটে বিজেপির সন্ত্রাসের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন, পুরভোটের পর বাংলার মানুষের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখন হিমালয়-সমান উচ্চতায় অবস্থান করছে। বিরোধীরা দু’-তিন নম্বরে থাকার লড়াই করছে। তাই ওদের নিয়ে বেশি ভাবার কোনও কারণ নেই। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যজুড়ে উন্নয়নযজ্ঞ শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) আপাতত রাজ্যের উন্নয়ন নিয়েই ভাবছে। পুর নির্বাচনে রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এই শোচনীয় ফল নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। নাম না করে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘মঞ্চে বলবেন, কিন্ত কাজের লোককে বাদ দিয়ে কাছের লোককে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেবেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পুরনো লোকদের বাদ দিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।’’ বিধায়কদের সংগঠন থেকে বাদ দিয়ে দেওয়াও ঠিক হয়নি বলে মনে করেন তিনি। যোগ্যতা নয়, কোটা দেখে বিজেপির জেলা সভাপতি করা হচ্ছে। রবিবার সকালে লকেটকে তোপ দেগে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টিতেই আত্মবিশ্লেষণ করা হয়। কিন্তু কেউ যদি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায় সেটাকে আত্মবিশ্লেষণ বলে না। সেটাকে বলে পরচর্চা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমায় যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমি সেটা আদৌ পালন করেছি কি না সেটাই দেখার।’’ এরপর পুরভোটের প্রসঙ্গে টেনে বিজেপি নেতা বলেন, আমাদের ভোট করতে দেওয়া হয়নি। লকেটের নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এইসব কথা বলা খুব সহজ। যাঁরা ভোটের ময়দানে নেই, তাঁরা যদি এই ধরনের অভিযোগ করেন তাহলে কী হবে? যাঁরা ময়দানে ছিলেন তাঁরা জানেন কত কঠিন লড়াই করাটা।’’