সংবাদদাতা, কাঁথি : কাঁথি পুরসভার ১৪ নম্বর এবং তমলুক পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে এবারেও অপরাজেয় থাকলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বর্ষীয়ান প্রার্থী সুবল মান্না ও দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। তবে এই নিয়ে একটানা সাতবার জিতে কাঁথি পুরসভার ইতিহাসে রেকর্ড করেছেন সুবল। সুবল হলেন ‘কৃষ্ণসখা’। নিজের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড দিয়ে বাস্তবে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘ওয়ার্ডবাসীর বন্ধু’।
আরও পড়ুন-পরস্পরকে গুলি, নিহত দুই জওয়ান
একটানা ৩২ বছর কাঁথি পুরসভায় জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন কাঁথির কুমারপুরের এই বাসিন্দা। ১৯৯০ সালে জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রথম কাউন্সিলর হন। ১৯৯৫-এ কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে, নির্দল হিসেবে নেমেও জেতেন। তারপর ২০০০ সাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে টানা চারবার জিতেছেন। এমনকী শেষের বছর দুয়েক পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। ৬৫ বছর বয়সি পেশায় ডেকরেটর ব্যবসায়ী সুবল বিজেপি প্রার্থী নবীন প্রধানকে ৮২৬ ভোটে পরাজিত করেছেন।
আরও পড়ুন-হাইকোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাইল পুলিশ সুপারের বিশ্বভারতীতে ঝুলল তালা
শুধু নামে নয়, বয়সে, কাজের অভিজ্ঞতায়, এমনকী সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে তুলনায় অনেক ‘নবীন’ প্রার্থীকে হারিয়ে সুবল বললেন, ‘‘সাদামাঠা জীবন যাপন করি। কোনও রাখঢাক না রেখে, সোজা কথা, সোজাভাবে বলি। তাই মানুষ আশীর্বাদ করেন। দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল । আরও অনেক কাজ করতে হবে।’’
তমলুক পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডে আরও একবার জিতলেন তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সদস্য তৃণমূলের দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। ২০০০ সাল থেকে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। এ নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য জয়ের হাসি হাসলেন। ১৪১৩ ভোটে এবার জয়ী হয়েছেন। বিদায়ী পুরবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ গত এক বছর ধরে তমলুক পুরসভার প্রশাসকের ভূমিকাও পালন করেছেন। টানা পাঁচবার জয় প্রসঙ্গে দীপেন্দ্রনারায়ণ বলেন, ‘‘মানুষ আবারও আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আরও দায়িত্ব বাড়ল।’’