দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর স্বৈরাচারী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মুখে এবার চুনকালি পড়ল। কলকাতা আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার উপাচার্যের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি প্রশাসক। সমস্যায় পড়লে কান্নাকাটি কেন? সমস্যার সমাধান না করে আদালতে বার বার কেন?’ এরপরই অবিলম্বে বর্তমানে বিশ্বভারতীর ১৫টি হস্টেল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন-নারীপাচার রুখতে শপথ
দুজন ছাত্র প্রতিনিধি, দুজন পুলিশ প্রতিনিধি এবং ছজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির উপস্থিতিতে হস্টেল-সহ সব ভবনের তালা খুলে দিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে হবে। শুনানিতে পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তালা পড়ুয়ারা মেরেছে কিনা। পুলিশ সাফ জানায়, বিশ্বভারতী যে তথ্য দিচ্ছে, তা ঠিক নয়। পড়ুয়ারা ভবনে তালা মারেনি। আদালত বিদেশি পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলে এবং সব পক্ষের বক্তব্য শুনে রায় দেয়, হস্টেল না খুললে কোনও পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। পুলিশকে ক্ষমতা দিয়েছে আদালত। বলেছে, যে কোনও সময় পরিস্থিতি খারাপ মনে করলে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যবস্থা নিতে পারবে। প্রয়োজনে ছবি তুলতে পারবে।
আরও পড়ুন-সফল অস্ত্রোপচার পিঠ থেকে বেরল বাঁশ
আদালতের রায় শুনে বিশ্বভারতী টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা আমাদের আংশিক জয়। রায়ের কপি হাতে পেলে ঠিক করব, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।’ ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত, স্বৈরাচারীর জয় হয় না। ছাত্র আন্দোলনের জয় হয়। ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে বসে ঠিক করবে, দাবি পূরণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ১১ মার্চ থেকে ফার্স্ট সেমেস্টারের পরীক্ষা। তার আগে হস্টেল খোলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ টেন্ডার ডেকে সারাই করতে হবে। এই অল্প সময়ে সেটা কঠিন। সেক্ষেত্রে হয় পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া বা অনলাইনে পরীক্ষা নিলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন পড়ুয়া ও শিক্ষকদের একাংশ।