মেলবোর্ন, ১০ মার্চ : মৃত্যুর ছ’দিন পর প্রাইভেট জেটে দেশে ফিরল শ্যেন ওয়ার্নের মরদেহ। ব্যাংকক থেকে আট ঘণ্টার যাত্রা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পতাকায় মোড়া প্রাক্তন স্পিনারের কফিন যখন মেলবোর্নের এসেনডন নর্থ এয়ারপোর্টে নামল, তখন সেখানে শোকের আবহ।
এমনিতেই গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের কো সামুই দ্বীপে ওয়ার্নের অকস্মাৎ মৃত্যুর পর থেকে শোকে কাতর ভক্তরা। এমসিজিতে তাঁর যে মূর্তি রয়েছে, গত ক’দিন ধরে রোজ সেখানে ভক্ত সমাগম হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলবোর্ন মাঠে ৩০ মার্চ মেমোরিয়াল সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ওয়ার্নের দেহ থাইল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার পরই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাইভেট মেমোরিয়ালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-জলাতঙ্ক রুখতে পুর উদ্যোগ
এদিকে, পাকিস্তান সফররত অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার জানিয়েছেন, তিনি ওয়ার্নের স্মরণসভায় উপস্থিত থাকবেন। ছোটবেলায় ওয়ার্নার ওয়ার্ন হতে চাইতেন বলে বেডরুমে তাঁর পোস্টার টাঙিয়ে রেখেছিলেন। ওয়ার্নার বলেন, রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন খেলার পর তাঁরা যখন টিম বাসে, তখনই খবরটা এসেছিল। ‘‘আমি এখনও ব্যাপারটা মেনে নিতে পারিনি। প্রথম যখন শুনি, মনে হয়েছিল কেউ মজা করছে।” বলেছেন ওয়ার্নার। তাঁর দাবি, তিনি ওয়ার্নকে দেখে মোহিত হতেন।
আরও পড়ুন-কেওয়াইসির নামে প্রতারণা
ওয়ার্নার আরও বলেন, দেখা হলে ওয়ার্ন তাঁকে বিয়ার খাওয়াতে চাইতেন। না হলে ডিনার। সবসময় সাহায্য করতেন। তাঁর চলে যাওয়াটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য চরম ধাক্কা। ২৫ মার্চ টেস্ট সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ায় ওয়ার্নার মেলবোর্নে থাকতে পারবেন। কিন্তু যাঁরা একদিনের দলে রয়েছেন, যেমন স্মিথ বা ফিঞ্চ, তাঁদের পক্ষে ওয়ার্নের বিদায়ী অনুষ্ঠানে থাকা সম্ভব হবে না। ওয়ার্ন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ২০১৪-র দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ঘটনা তুলে আনেন ওয়ার্নার। কনস্যালট্যান্ট হিসাবে দলের সঙ্গে থাকা ওয়ার্ন ড্রেসিংরুমে ঘুমিয়ে পড়েছেন, ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। আবার এমনও হয়েছিল, দল যখন মাঠে যাওয়ার জন্য বাসে উঠে পড়েছে, ওয়ার্নকে তখনও দেখা গিয়েছে রুটিতে মাখন লাগাচ্ছেন!