৫ রাজ্যে ভোটপর্ব শেষ হতে না হতেই স্বমহিমায় ফিরে এল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার ইপিএফের সুদের হার ১০ বছরে সর্বনিম্ন কমালো সরকার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কমতে চলেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-এর সুদের পরিমাণ। ৮.৫ শতাংশ থেকে কমে সুদের পরিমাণ এবার হবে ৮.১ শতাংশ। নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে ফের মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে কোপ পড়তে চলেছে। এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব দিতে চলেছে ইপিএফ কমিটি।
আরও পড়ুন-সমরেশ বসুর প্রয়াণ দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের দেশজুড়ে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির জেরে নাজেহাল দেশবাসী। সাম্প্রতিক ৫ রাজ্যে নির্বাচনের পর ৪ রাজ্যে বিজেপি জয়লাভ করার পর বিজয় ভাষণে নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছেন যুদ্ধের জেরে দেশে ফের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা। অনুমান করা হচ্ছে শীঘ্রই দেশের বাজারে পেট্রল-ডিজেলের দাম ব্যাপকভাবে বাড়বে। এরইমাঝে ইপিএফে সুদের হাত এতখানি কমে যাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে দেশের সাধারণ জনগণ।
আরও পড়ুন-এক কোটি কর্মসংস্থান
এদিকে কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্ত মানুষ, নিম্নবিত্ত মানুষ অত্যন্ত সমস্যায় পড়তে চলেছেন। আসলে ৪ রাজ্যে জয়ের উপহার দিল বিজেপি। ওরা জিতলে ওদের জয়ের উৎসবটাও সাধারণ মানুষের জন্য কতখানি বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে এটা তারই প্রমাণ। জয়ের ভাষণ প্রধানমন্ত্রী বললেন যুদ্ধ চলছে বলে মূল্যবৃদ্ধি। তবে যুদ্ধের আগে থেকেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম, গ্যাসের দাম, ওষুদের দাম, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে মোদি সরকার। এই বিজেপি দেশের পক্ষে বিপদজনক, একে পর্যুদস্ত করতে হবে এদের জনবিরোধী নীতিগুলি থামানোর জন্য।