সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : ঠুঁটো জগন্নাথ টি বোর্ড। কেন্দ্রের উদাসীনতায় ডুয়ার্সে এখনও বন্ধ সাতটি চা-বাগান। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার চারটি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার তিনটি। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। কর্মহীন প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। বাগানের কাজ ছেড়ে বিকল্প পথে আয় করে কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন বন্ধ বাগানের শ্রমিকরা। তাঁদের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার। প্রত্যেক বাগান-শ্রমিককে মাসে ১৫০০ টাকা দেওয়ায় তাঁরা অনেকটাই উপকৃত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন – গ্রামীণ হাসপাতালে ডায়ালিসিস
জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রায়পুর, রেডব্যাঙ্ক, সুরেন্দ্রনগর, ধরণীপুর, আলিপুরদুয়ার জেলার মধু, বান্দপানি, ঢেকলাপাড়া— এই বাগানগুলি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। চা-বাগান খোলা বা সেগুলিকে অধিগ্রহণ করে চালু করা সবই কেন্দ্র সরকারের হাতে। কিন্তু টি বোর্ডের উদাসীনতায় বাগান খোলার কোনও উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র সরকারের সংস্থা অ্যান্ড্রু ইউল, সেই সংস্থাকে দিয়েই কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন প্রোজেক্ট করে। তাদের দিয়েই এই বাগানগুলি অধিগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু রাজ্যকে বঞ্চনা করতেই কিছু করতে অনীহা কেন্দ্র বা টি বোর্ডের। ডুয়ার্সের বানারহাটের ভিক্টর বসু জানান, তিনি দীর্ঘদিন চা-বাগান নিয়ে কাজ করছেন, শ্রমিকদের দুর্দশার কথা খুব কাছ থেকে দেখেছেন।
এই অবস্থায় কেন্দ্র সরকারের উচিত দ্রুত সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাগানগুলিকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনা। ইন্ডিয়ান টি বোর্ডের সদস্য মণি কুমার ডার্নাল জানান, চলতি মাসের ৪ তারিখে দিল্লিতে টি বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্র সরকারকে একটি মেমোরেন্ডাম দেন। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, দ্রুত বন্ধ চা-বাগানগুলিকে সচল করার উদ্যোগ নিক কেন্দ্র। কিন্তু টি বোর্ড আদৌ কথা কানে তুলবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মণি।