চালসা ও গরুমারা নর্থ রেঞ্জের তরফে চলছে প্রচার, শিকার রুখতে কঠোর বন দফতর

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : দোল উৎসবে জঙ্গলে শিকার রুখতে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে নামলেন বনকর্মীরা। মাইকের মাধ্যমে জনগণকে যাবতীয় বিষয়ে সচেতনও করা হয়। দোল উৎসবে এক শ্রেণির মানুষের জঙ্গলে ঢুকে বন্যপ্রাণী শিকার করার রীতি রয়েছে। যদিও এখন এই শিকার আর হয় না বলে বন দফতরের (Forest Department) দাবি। তাও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বন দফতর। দুই রেঞ্জের বনকর্মীরা কিলকোট, ইনডং, চালসা, মেটেলি, বড়দিঘি চা-বাগান সহ মূর্তি বনবস্তি এলাকায় প্রচার অভিযান চালান। পাচার রুখতে দোলে লাগাতার প্রচার ও টহলদারি চলবে।

রবিবার বন দফতরের চালসা রেঞ্জ ও গরুমারা নর্থ রেঞ্জের তরফে জঙ্গল সংলগ্ন বিভিন্ন চা-বাগান ও বনবস্তি এলাকায় গিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও লাটাগুড়ি, চালসা, ডায়না, মরাঘাট-সহ সবগুলি রেঞ্জেই শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। দুই ডিভিশনের বনকর্মীরা (Forest Department) সমস্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে সচেতন করেন। জলপাইগুড়ি ডিভিশনের ডিএফও মৃদুল কুমার বলেন, ‘‘চোরাশিকার এবং পাচার রুখতে সারাবছরই চলে নজরদারি। তবে এইসময় নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে। বনকর্মীরা মাইক নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন।’’

গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের পক্ষে এডিএফও জন্মেজয় পাল জানান, ‘‘দোলের দু’দিন আগে থেকেই পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং অবৈধ প্রবেশ যাতে না হয় তার জন্য কড়া নজরদারি চালানো হয়। এবারও দোলের কড়া নজরদারি বহাল থাকছে।’’ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় একটি চিতাবাঘ শিকার করে নখ এবং চামড়া নিয়ে যাচ্ছিল শিকারিরা। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বন্যপ্রাণী এবং জঙ্গলের সম্পত্তি বাঁচাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর। জোরকদমে শুরু হয়েছে নজরদারি। প্রতিটি রেঞ্জের বনকর্মীরাই সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন জঙ্গল রক্ষায়। গাড়ি নিয়ে চলছে টহল।

Latest article