সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : সব মৃত্যুই দুঃখজনক। খুন হলে অবশ্যই তদন্ত হয়। আইনি পথে অপরাধীদের বিচার হয়। পশ্চিমবঙ্গে অপরাধীরা ছাড়া পায় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেস একথা স্পষ্টভাবে বললেও ঝালদা পুরসভার এক সদ্যবিজয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর, তা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-আন্দোলন ভেঙে দিতে পড়ুয়াবিরোধী বিজ্ঞপ্তি
দলের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরি সোমবার ঝালদা গিয়ে খুনের জন্য সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করেন। রবিবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলার তপন কান্দু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করেছে। তারই ফাঁকে শহরে ক্রমাগত উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কংগ্রেস। দলের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, পুর বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশের সহায়তায় এমন কাজ করেছে। সোমবার অধীর একই অভিযোগ তোলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝালদা শহর সভাপতি দেবাশিস সেন বলেন, ‘পুরসভায় আমাদের কাউন্সিলার সংখ্যা ৬, কংগ্রেসের ৫। একজন নির্দল কাউন্সিলার রয়েছেন। বোর্ড এমনিতেই তৃণমূল কংগ্রেস গড়বে। তারজন্য ঘৃণ্য পথ নেব কেন? তৃণমূল কংগ্রেস তেমন কাজ করে না। তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, আমরা তো তদন্ত চাইছি। দাবি করছি, পুলিশ দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিক। ঝালদার মানুষ বলছেন, রাজনীতি পরে, আগে পুলিশ অপরাধীদের ধরুক। মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা করে কংগ্রেসের ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা নিন্দনীয়।