সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধাল বিশ্বভারতীতে। ভাষাভবন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চলে ধ্বস্তাধ্বস্তি। আহত হয় পাঠভবনের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পূরক সরকার। তাকে শান্তিনিকেতন পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, একশো শতাংশ ক্লাস হয়েছে অনলাইনে। সেখানে কী করে অফলাইন পরীক্ষা হতে পারে? তাই তারা পরীক্ষা পিছনোর দাবি তোলে।
আরও পড়ুন-নদিয়ার তাঁতের শাড়ি ও হস্তশিল্প বিপণন দিল্লিতে
কিন্তু উপাচার্যের খামখেয়ালিপনায় ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে চলেছে, বলে তাদের অভিযোগ। এদিন তারা উপাচার্য তথা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হলেও, সকাল নটা থেকে বারোটা যে পরীক্ষা ছিল, তা দেয়নি। পাঠভবন ও শিক্ষাসত্র মিলে বিশ্বভারতী বোর্ডের দুশো পরীক্ষার্থী ছিল। সোমবার ছিল উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের দাবি মোতাবেক পরীক্ষা না পিছিয়ে, নির্ধারিত রুটিনে শুরু করায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে পড়ুয়ারা। তারপরই পরীক্ষা বয়কটের দাবি তোলে।
আরও পড়ুন-জেতার পর বাড়ি-বাড়ি সুপ্রকাশ
তবে গন্ডগোলের সূত্রপাত কিছু অভিভাবক তাঁদের ছেলেদের পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে থাকায়। বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। আমরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নয়।’ ছাত্র সোমনাথ সাউ বলেন, ‘আগেই ঘোষণা করেছিলাম, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে আমরা কোনও ভূমিকা পালন করব না। যা হয়েছে, তা স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-আন্দোলন।’