প্রতিবেদন : ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতাদের নির্লজ্জ প্রচারের কড়া সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। তাঁদের মতে, ভোটব্যাঙ্কের লক্ষ্যে মানুষকে ভুল বোঝানো ও রাজনৈতিক ফায়দা লাভের চেষ্টা ছাড়া এই সিনেমা নিয়ে মাতামাতির অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই৷ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার বলেছেন, ছবিটি পরিকল্পিতভাবে কংগ্রেসকে দোষারোপের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে৷ কিন্তু আসল সত্যিটা হল, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা যখন ঘাঁটি ত্যাগ করেছিল তখন ভি পি সিংয়ের সরকার ছিল কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে ১ পুরসভাই
বিজেপির কিছু লোক, যাঁরা এখন এই ইস্যুতে শোরগোল করছেন তাঁরাও তখন ভিপি সিংয়ের সমর্থনে ছিলেন। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন গভর্নর জগমোহনের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও সম্পর্কই ছিল না। ভোট রাজনীতিকে মাথায় রেখে সাম্প্রদায়িকতার যে উসকানিমূলক প্রচার, তার সমালোচনায় সরব জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। তাঁর মন্তব্য, বিজেপি মানুষের মনে আরও বেশি করে ঘৃণার জন্ম দিতে চাইছে। যেভাবে তারা প্রত্যেক পুলিশ ও সেনাদের এই সিনেমা দেখার জন্য বাধ্য করছে, তাতে হিটলার এবং গোয়েবলস–এর সময়ের কথা মনে পড়ে যায়। তখন ষাট লাখ ইহুদিদের মূল্য দিতে হয়েছিল। ভারতে কতজনকে মূল্য দিতে হবে, আমি জানি না।
আরও পড়ুন-কমছে জিডিপি
নব্বইয়ের দশকে শুধুমাত্র কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গেই নয়, শিখ ও মুসলমানদের সঙ্গে কী হয়েছিল তারও তদন্ত করার উচিত। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, একটি প্রগতিশীল সরকারের কাছ থেকে দর্শকরা সেচ সংক্রান্ত বা অর্থনৈতিক ফাইল দেখতে চাইবে, কাশ্মীর ফাইলস কেউ দেখতে চায় না।