রামপুরহাট (Rampurhat) কান্ডে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য-
রামপুরহাটে (Rampurhat) সিবিআই (CBI) প্রসঙ্গে
রামপুরহাটের (Rampurhat) ঘটনা দুঃখজনক।
এখানে তদন্তে যা যা করণীয়, রাজ্য সরকার সব ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্ষতিপূরণেও পদক্ষেপ হয়েছে। হয়ত বেশিই হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যা যা করার করেছেন। পুলিশ ২১ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তদন্ত চলছে।
তার পরেও কোর্ট সিবিআইকে (CBI) দায়িত্ব দিয়েছে।
আমরা সহযোগিতা করব। বিরোধিতা করব না।
কিন্তু এবিষয়ে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য আছে।
যেখানে রাজ্য সরকার সব ব্যবস্থা নিয়েছেন, নিচ্ছেন, সেখানে কীভাবে সিবিআই হয়?
বিজেপির দুই ভাই: ইডি আর সিবিআই।
সিবিআই নিরপেক্ষ নয়। ওরা বিজেপি পক্ষ।
একদিক থেকে ভালো।
এরপর কেউ মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকারকে দোষ দিতে পারবে না। সিবিআই দেখুক।
আমরা সহযোগিতা করব।
কিন্তু কোন সিবিআই?
আগেও বহু দায়িত্ব।
সুরাহা হয়নি। ন্যায়বিচার আসেনি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল, সিঙ্গুরে তাপসী মালিক খুন, নন্দীগ্রাম গণহত্যা, এবং আরও।
প্রশ্ন, দিল্লির দাঙ্গায় সিবিআই হয় না কেন?
হাথরাস, উন্নাও, লখিমপুর, অসমের হত্যা, গণহত্যায় সিবিআই হয় না কেন?
তাছাড়া বিজেপিতে যোগ দিলেই তো সিবিআই তাদের অভিযোগ আর দেখতে পায় না।
এখন তো A to Z, সব বিজেপির পারচেজড।
আরও পড়ুন: তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্যে গুরুত্ব, চন্দ্রবাবুর পেগাসাস কেনার অভিযোগের তদন্ত করছে জগন সরকার
রাজ্যপাল, বিজেপি নেতারা আগেই বলছিলেন, কী হবে, দেখতে পাবেন।
আমাদের জানা ছিল কী করছে ওরা। কী হতে চলেছে।
আমাদের দাবি:
ন্যায়বিচার ও সঠিক তদন্ত করুক সিবিআই।
যদি ন্যায়বিচার না হয়, যদি বিজেপিকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়, যদি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকে আড়াল করা হয়, যদি বিজেপির কথায় এই ঘটনার তদন্তের পরিধি থেকে বেরিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতির চেষ্টা হয়, তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। প্রতিবাদ হবে। গণআন্দোলন হবে।