প্রতিবেদন : ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের জেরে পুতিনকে আগেই যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করেছিলেন তিনি। শুক্রবার ইউক্রেন থেকে মাত্র ৮০ কিমি দূরের দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের সীমান্তশহর জেসজাও পৌঁছে রাশিয়াকে আরও চাপে ফেললেন মার্কিন প্রেসিেডন্ট জো বাইডেন। পোল্যান্ডের এই শহরে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয় (Ukraine) শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। জানবেন, তাঁদের দুঃখদুর্দশা, অভিজ্ঞতার কথা। সীমান্তে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের সঙ্গেও দেখা করবেন বাইডেন। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের (Ukraine) মাটিতে রাশিয়ার আগ্রাসনকে মানবতার সংকট বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রায় ২০ লক্ষ ইউক্রেনীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে। শরণার্থী সংকটে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সংকট মোকাবিলায় দেওয়া হচ্ছে ১ বিলিয়ন ডলার। চারদিনের সফরে ইউরোপেই রয়েছেন বাইডেন। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর এক জরুরি বৈঠকে যোগ দেন তিনি। তাঁর পরিকল্পনা, ইউরোপীয় দেশগুলি যাতে আর রুশ জ্বালানির উপর আর নির্ভর না-করে, তার একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ। সে ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়েছেন তিনি, জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এত কিছুর মধ্যেও রুশ বাহিনীর উপর্যুপরি হামলায় ইউক্রেনে মৃত্যু-মিছিল অব্যাহত। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের একটি থিয়েটার হলে বোমা-বর্ষণ চালিয়েছিল রুশ সেনা। ভয়াবহ সেই হামলায় কমপক্ষে ৩০০ নাগরিক মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার দখল করে নেওয়া বার্দিয়ানস্ক বন্দরে থাকা রুশ জাহাজ ‘ওরস্ক’ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়া-ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব পেশ করেছিল রাশিয়া। তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। রাশিয়ার প্রস্তাবে সাড়া না-দিয়ে সেই ভোটাভুটিতে বিরত থাকে ভারত। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র দুটি। একটি রাশিয়ার, অন্যটি চিনের। স্বভাবতই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার আনা এই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। এর আগে অবশ্য রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব সমর্থন করেনি ভারত। যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল আমেরিকা।