দেবর্ষি মজুমদার, রামপুরহাট : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ঘুরে আসার পরই আতঙ্কগ্রস্ত গ্রাম দ্রুত ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে। গোটা গ্রামে চলেছে কড়া পুলিশি নজরদারি। যাঁরা ভয়ে গ্রামছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন, ফিরে আসছেন একে একে। বাইরে উঠোনেই রান্নাবান্না করছেন মহিলারা। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাতায়াত শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) দোষীদের কঠোরতর শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বাড়িঘর মেরামত ও অন্য খরচ হিসাবে অর্থসাহায্য দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পুড়ে যাওয়া বাড়ির লোকজন কী খাবেন, সে ভাবনাও তাঁকে বিচলিত করেছে। তাই তিনি যেমন কঠোর হাতে রাজধর্ম পালন করেছেন, তেমনি মানবিক হিসেবে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন যাঁদের খাবার নেই, তাঁদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে। জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ার গোপালজল গ্রামে আশ্রিত দশটি পরিবারের হাতে চাল, ডাল, বিস্কুট, খাবারদাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বগটুই গ্রামে মিহিলাল ওরফে মিহিরলাল শেখের স্ত্রী শেলি বিবি, মেয়ে তুলি খাতুন নারকীয় অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছেন। বাণীরুল শেখের স্ত্রীও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। প্রাণ বাঁচিয়ে বাকি সদস্যরা সাঁইথিয়ার গোপালজল গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাঁদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে ত্রাণ। তাঁরা খুব খুশি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।