প্রতিবেদন : সামনে ফের আরও একটা কর্মনাশা বন্ধ। সোম ও মঙ্গলবার একাধিক শ্রমিক সংগঠনের ডাকে বন্ধ। কেন্দ্রের জনবিরোধী ইস্যুগুলি নিয়ে আগাগোড়া শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই (Trinamool Congress) পথে নামলেও এই কর্মনাশা বন্ধের তীব্র বিরোধিতা করছে দল। অতীতে তৃণমূল কংগ্রেসই প্রতিটি ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছে। পথে নেমে আন্দোলন করেছে। অন্য কোনও দলকেই তখন দেখা যায়নি। পেট্রোল-ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি— কেন্দ্রের প্রতিটি জনবিরোধী পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে চলেছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই লোকদেখানো বন্ধকে কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়। বন্ধের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। সার্বিকভাবে বন্ধের বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। কারণ দল মনে করে বন্ধের ডাক দিয়েছে যারা, তারা শুধু লোকদেখানো নাটক করছে। সোম ও মঙ্গলবার রাজ্যের জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সমস্তরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। জোর করে বন্ধ সফল করার চেষ্টা কড়া হাতে দমন করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বন্ধের ওই দু’দিন সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে হাজিরা বাধ্যতামূলক। কোনও ছুটি গ্রাহ্য করা হবে না। ধর্মঘট ঠেকাতে বেশি করে রাস্তায় নামবে সরকারি ও বেসরকারি বাস। অশান্তি এড়াতে প্রস্তুত থাকবে বাড়তি পুলিশ। জোর করে কোথাও ধর্মঘট করার চেষ্টা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বাকি দিনের মতো সোম ও মঙ্গলবার স্বাভাবিক থাকবে লোকাল ও মেল ট্রেনের পরিষেবা। পাশাপাশি করোনা কাটিয়ে সোমবার থেকেই বাড়ছে মেট্রোর সময়সীমা। তবে এই বন্ধে ব্যাঙ্কিং টেলিকম-সহ বিভিন্ন পরিষেবা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পাশাপাশি একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী ইউনিয়নগুলিও এই বন্ধে শামিল হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। এই বন্ধের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসিও। রবিবার শান্তিপুরে এক অনুষ্ঠানে আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বন্ধের ইস্যুগুলি সমর্থনযোগ্য হলেও এই বন্ধের তীব্র বিরোধিতা করবে আইএনটিটিইউসি। সর্বনাশা বন্ধ কখনওই শ্রমিক স্বার্থের পক্ষে হতে পারে না বলেই মনে করেন তিনি।