শান্তনু বেরা, তমলুক: শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য এবার ‘অনলাইন কেরিয়ার কাউন্সেলিং’ শুরু হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নয়, জেলার বাইরের হাজার হাজার শিক্ষার্থীও এই অনলাইন কেরিয়ার কাউন্সেলিং থেকে উপকৃত হতে পারে বলে মনে করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন : সেরা ফালাকাট কৃষক বাজার, হিমঘরের প্রস্তাব জাপানের
ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল বেরিয়েছে। ঘোষণা হয়ে গেছে আইএসসি এবং সিবিএসসি বোর্ডের ফল। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ কেরিয়ার নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। কী পড়ব, কোথায় যাব, কোনটা ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী হবে, কোনটা পড়লে আগামীদিনের পথ খুব সহজ হবে– এসব প্রশ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতো অনেক অভিভাবকেরও কৌতূহল থাকে। কারণ, সবাই খুব মেধাবী শিক্ষার্থী হয় না। মধ্য ও নিম্নমেধার জন্য আগামীদিনে কোন পথে যাওয়াটা বেশি লাভজনক হবে, এ সম্পর্কে এই অনলাইন কেরিয়ার কাউন্সেলিংয়ে দিশা দেওয়া হবে। ১৭ আগস্ট, দুপুর ১২টায় এই অনলাইন কাউন্সেলিং হবে। অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা থাকবেন। তাঁরাই ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানাবেন। ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার এবং ডেপুটি কালেক্টর শিল্পী সিংহ এই অনলাইন কেরিয়ার কাউন্সেলিং শুরুর ঘোষণা করেন। জানান, ‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত এসআই, অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীকে এই অনলাইন কেরিয়ার কাউন্সেলিং দেখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। কেরিয়ার সম্পর্কে কারো কিছু প্রশ্ন থাকলে, তাঁরা এই অনুষ্ঠানে করতে পারবেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা এখানে ভবিষ্যতের দিশা দেখাবেন।’ অনেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর এক বছর বাদ দিয়ে ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে পরে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মেডিকেলে বসেন।
আরও পড়ুন : খেলা হবে দিবসের দিনেই IFA-এর সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর
এই এক বছর সেই ছাত্রছাত্রীরা কি বসে থাকবেন, নাকি এই সময়ে অন্য কিছু করা যেতে পারে? আবার আর্টস এবং কমার্সের ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের জন্য কোনটা বেশি লাভজনক হবে? এ সমস্ত বিষয়ে এই অনলাইন কেরিয়ার কাউন্সেলিং থেকে উত্তর পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য অভিনব অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। তারপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন অনলাইন কেরিয়ার কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ নেওয়ায়, রীতিমতো খুশি এই জেলার ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা।