সংবাদদাতা, মালদহ ও রায়গঞ্জ : রাজ্যের জনমুখী প্রকল্প আরও বেশি বাড়ানো হববে। লক্ষ্মীরভণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বিধবাভাতা কোনও প্রকল্পে সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্যে অর্থাভাব নেই। মালদহ এবং রায়গঞ্জের দুটি পৃথক কর্মসূচিতে এমনটাই জানালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন প্রপ্যকদের হাতে প্রকল্পের সুবিধাও তুলে দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, থাকবে। কারণ প্রত্যেক মানুষের মাথার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আছে। দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ যেখানে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ২১ লক্ষ মানুষ বিধবাভাতা পাচ্ছেন।’’ বৃহস্পতিবার দলীয় একাধিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তর দিনাজপুর এবং তারপর মালদহে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মালদহের কলেজ অডিটোরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, মালদহ জেলায় নতুন করে মোট ১৯৯৯৩ জনকে বিধবাভাতা দেওয়া হবে। ২০২০-’২১ বর্ষে জেলায় বিধবাভাতা প্রাপকের সংখ্যা ছিল ৫৩০০০। সবমিলিয়ে এখন সংখ্যা দাঁড়াল ৭২৯৯৩। এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সী, তাজমুল হোসেন, চন্দনা সরকার, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি প্রমুখ। পাশাপাশি, উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন করে ১০ হাজার জনকে বিধবাভাতা দেওয়া হয়। আগে মোট ১৪০০০ বিধবাভাতা জেলায় ছিল। রায়গঞ্জের বিধান মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে ভাতা প্রদান করেন তিনি। ছিলেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন, জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা, জেলা পুলিশ সুপার সানা আখতার, দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, আব্দুল করিম চৌধুরি, সৌমেন রায়, মোশারফ হোসেন, মিনাজুল আরফিন আজাদ, গৌতম পাল, পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার প্রমুখ।