অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি : দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে বিজেপি মিথ্যা প্রচার ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করছে বলে অভিযোগ করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। দিল্লিতে দলীয় সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সিনেমা-রাজনীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, এই সিনেমাটিকে গেরুয়া শিবির রাজনৈতিক প্রচারের কাজে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করছে। প্রবীণ রাজনীতিক শরদ পাওয়ারের কথায়, এ ধরনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়াই উচিত ছিল না। অথচ ছবিটি প্রদর্শনের জন্য করছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং যারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য দায়বদ্ধ, তারাই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ উসকে দিতে এই চলচ্চিত্র দেখতে উৎসাহ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-জিৎ-এর ইসমার্ট জোড়ি…
এনসিপি নেতা বলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের যেমন উপত্যকা ছেড়ে পালাতে হয়েছিল তেমনি মুসলমানদেরও একইভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিই প্রকৃতপক্ষে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং কাশ্মীরের মুসলিমদের উপর হামলার জন্য দায়ী। নরেন্দ্র মোদি সরকার যদি সত্যিই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকে তাহলে তো উচিত তাদের সার্বিক পুনর্বাসনের চেষ্টা করা! তা না করে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। এই রাজনীতি নিন্দনীয়।
আরও পড়ুন-এটিকে-জট কাটানোর উদ্যোগ মোহনবাগানের, গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলবেন কর্তারা
শরদ পাওয়ার বলেন, ভিপি সিং যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেশত্যাগ শুরু হয়েছিল। মনে রাখতে হবে, ভিপি সিং সরকার ছিল বিজেপি সমর্থিত। সেই সময় মুফতি মহম্মদ সইদ ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জগমোহন, যিনি পরে দিল্লি থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তিনি ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল। তৎকালীন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ জগমোহনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে পদত্যাগ করেছিলেন। উপত্যকা থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের সময় রাজ্যের প্রশাসন ছিল রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে। বিজেপি সমর্থিত সরকারের আমলে যে ঘটনা ঘটেছিল সেই ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই এই সিনেমাটিকে ঘিরে মাতামাতি শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।