সংবাদদাতা, কাঁথি : রাজ্যে মাছের জোগান পর্যাপ্ত রাখতে মৎস্যজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে রাজ্য। ‘বঙ্গ মৎস্য যোজনা’ নামে এই প্রকল্পের প্রশাসনিক পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে পরিকাঠামো তৈরি করে মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্য মৎস্য দফতর। প্রতিটি জেলায় একটি করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেখানে মৎস্যজীবীদের তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর মাছচাষে তাঁদের আর্থিক সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যে মাছের চাষ বাড়ানো গেলে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন পড়বে না। ফলে স্থানীয় বাজারে রাজ্যের মাছই পর্যাপ্ত জোগান দেওয়া যাবে। এতে মাছের দাম যেমন কম হবে, এ রাজ্যের মৎস্যজীবীরাও উপকৃত হবেন। মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। আপাতত পরিকাঠামো তৈরি করছি। পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হলেই মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’ মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের মধ্যে প্রচার শুরু করা হয়েছে। কীভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে, উপভোক্তারা কী কী সুবিধা পাবেন ইত্যাদি বিষয়ে মৎস্য আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ৬ এপ্রিল সব জেলার আধিকারিককে নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, ‘রাজ্য মৎস্যজীবীদের উৎসাহিত করলে এই রাজ্যেও মাছের (Fish) উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। ফলে স্থানীয় বাজারে মাছের (Fish) জোগান আরও বাড়ানো যাবে।’