প্রতিবেদন : বিশ্ব জুড়ে তীব্র সমালোচনা, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ব্রাত্য হয়ে পড়া— কোনও কিছুই বদলাতে পারছে না রুশ প্রেসিডিন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধং দেহি মনোভাব। বরং তিনি দিনে দিনে হয়ে উঠছেন আরও আগ্রাসী। ইউক্রেনের শহর বুচায় নৃশংস গণহত্যার দায় যে বাহিনীর কাঁধে, সেই ৬৪ মোটর রাইফেল ব্রিগেডকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করলেন তিনি।
আরও পড়ুন-গরমের মোকাবিলায়
গর্বের সুরে নির্লজ্জ পুতিন বলেন, এই ব্রিগেডের সেনারা রাশিয়ার মর্যাদারক্ষায় নিয়োজিত অজেয় শক্তি৷ গণহত্যায় অভিযুক্তদের সংবর্ধনা দিয়ে ফের বিশ্বের চোখে নিন্দিত রুশ প্রেসিডেন্ট৷ কূটনৈতিক মহলের ধারণা, যুদ্ধের ৫৫তম দিনে নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে নতুন কৌশলে আক্রমণ শানানোর ব্লুপ্রিন্ট ছকে ফেলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার আভাসও এদিনের ঘটনাপ্রবাহে সুস্পষ্ট। পূর্ব ইউক্রেনের ক্রেমিন্না শহরের দখল নিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনারা সেখান থেকে পালিয়েছেন। এই খবর স্বীকার করে নিয়েছেন লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি গাইদাই। পতনের মুখে মারিউপোল। রুশ আক্রমণে ঝাঁঝরা এই শহর৷ পাশাপাশি ইউক্রেনের আরও নতুন এলাকায় হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ক্রিকেট, টেনিসের পর বার্টি গলফে
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দফতর মঙ্গলবার জানিয়েছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনে এক রাতেই ১,২৬০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ডনবাস শহর দখলের জন্য চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়দিবসে বিরাট অনুষ্ঠান হবে মস্কোয়। তার আগেই ইউক্রেনকে নতজানু করতে মরিয়া পুতিন। ডনবাস আর মারিউপোল দখল হলেই তাঁর কার্যসিদ্ধি নিশ্চিত।