প্রতিবেদন : আধুনিকতার মোড়কে মেট্রো রেলে এবার কি কর্মীসংকোচন? কর্মীমহলে এই আশঙ্কাই করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার রেলের বিভিন্ন পদপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত পথেই হাঁটছে রেল বোর্ড। রেলে এখনও কয়েক লক্ষ পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কিছু কিছু বিজ্ঞাপন বের হলেও তার নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। এর পাশাপাশি, রেলের চাকরি নিয়েও নানান দুর্নীতি ধরা পড়েছে। যদিও রেল এর বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার করলেও দুর্নীতি পুরোপুরি আটকাতে পারেনি।
আরও পড়ুন-বঙ্গ বিজেপিতে কেচ্ছা চলছেই
এই প্রেক্ষাপটেই মেট্রো রেলে ঘুরপথে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো রেলের বিভিন্ন স্টেশনে টিকিট কাউন্টার কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। পরিবর্তে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি করে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানোও হয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের ওই মেশিন ব্যবহার কীভাবে করতে হবে তা-ও হাতে-কলমে শিখিয়ে দিচ্ছে মেট্রো রেলের কর্মীরা। ওই মেশিন থেকে টোকেনও পাওয়া যাবে। স্মার্ট কার্ড রিচার্জও করা যাবে। সম্প্রতি মেট্রো রেলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পদস্থ অফিসাররা। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী দিনে মেট্রোতে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাটাই হবে পুরোপুরি ডিজিটাল। তবে মেশিন খারাপ হয়ে গেলে বয়স্ক অথবা গ্রাম থেকে আসা মানুষজনদের জন্য প্রতি স্টেশনে একটি বা দুটি কাউন্টার থাকবে।
আরও পড়ুন-আয়করে কৃতিত্ব বাংলার
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো রেলপথে বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে গেলে ওইসব কর্মীদের কী ভবিষ্যৎ? রেল বোর্ডের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওইসব কর্মীর একটি বড় অংশ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে পাঠানো হবে ডেপুটেশনে। মেট্রো রেলের এই পরিবর্তন সম্পর্কে সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ অফিসার রূপায়ণ মিত্র বলেন, আমরা চাইছি না মানুষ টিকিট কাটতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করুন। এইজন্য ভেন্ডিং মেশিন বসানো হচ্ছে। কমানো হবে কাউন্টার। এমনকী আগামী দিনে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর মতো কিউবার বারকোড দেওয়া হবে নর্থ-সাউথ মেট্রো যাত্রীদের টিকিট কিনতে। খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে।