প্রতিবেদন : ঐতিহ্যশালী মোহনবাগান ক্লাবের আগে এটিকে নাম সরানোর কাজ শুরু করে দিল নির্বাচিত নতুন কমিটি। সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে সম্মান দিয়েই এটিকে সরানোর আলোচনা শুরু করে দিলেন সচিব দেবাশিস দত্তের নেতৃত্বাধীন ক্লাব কর্তারা। বুধবার ছিল ক্লাবের (Mohun Bagan) কার্যকরী কমিটির বৈঠক। সেখানে আলোচনা হয়েছে ক্লাবের নামের আগে থেকে এটিকে শব্দ মুছে ফেলা নিয়েও। এই বিষয়ে একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়। বৈঠকের পর সচিব দেবাশিস বলেন, ‘‘নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কালই সমাধান হয়ে যাবে না। একটু সময় লাগবে। নিশ্চিত ভাবেই সমাধান হবে বলেই বিশ্বাস করি।’’
ক্লাবের নতুন কমিটি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বাংলার মানুষ এবং আদ্যন্ত এক জন মোহনবাগানপ্রেমী। কর্তারা মনে করেন, গোয়েঙ্কা আছেন বলেই ফুটবল মাঠে দৌড়চ্ছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। এদিন বৈঠকে কর্মসমিতির সদস্যরা গোয়েঙ্কাকে ধন্যবাদ দেন আইএসএলে ভাল দল তৈরির পাশাপাশি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য। গোয়েঙ্কাকে পূর্ণ সম্মান দিয়েই এটিকে সরানোর আলোচনা শুরু করতে চাইছেন কর্তারা। দেবাশিস বলেন, ‘‘সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে আমরা আর ইনভেস্টর হিসেবে দেখি না। উনি এখন ক্লাবেরই এক জন।’’
বুধবারের বৈঠকে কিছু সময়ের জন্য মতবিরোধের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচিত মাঠ সচিব তন্ময় চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেন। নিজের ব্যবসার কাজ সামলে ক্লাবে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারবেন না বলে সচিবকে পদত্যাগপত্রে লেখেন তন্ময়। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। তন্ময়কে কো-অপ্ট করে কমিটিতে নেওয়া হয়। কিন্তু ক্লাবের গঠনতন্ত্র মেনে তাঁর জায়গায় কমিটি সদস্য পিন্টু বিশ্বাসকে মাঠ সচিব করার প্রস্তাব উঠলে আপত্তি জানান ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনেও এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেখানেও আপত্তি জানান স্বপন। কিন্তু বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ। তিনি বুঝিয়ে দেন, এটা কোনও বিষয়ই নয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্লাবে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে সবাই সব বিষয়ে একমত হতে পারেন না। পরে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক সমাধান হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আলাদা ঘরে দু’জনের সঙ্গে কথা বলেন কর্তারা। এর পর বাইরে এসে দু’জনেই জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও বিরোধ নেই।
এদিনও ক্লাবের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া যায়নি। আবার বৈঠক করবে কার্যকরী কমিটি। সচিবের আশ্বাস, আগামী এক মাসের মধ্যে সভাপতি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। শূন্য থাকা বাকি দুই সহ-সভাপতি পদের একটি এদিন পূর্ণ হল। প্রাক্তন সহ-সভাপতি সৌমিক বোসকে আবার পুরনো পদে ফিরিয়ে আনা হলেও একটি আসন এখনও খালিই থাকল। নতুন কার্যকরী কমিটিতে কো-অপ্ট করে নিয়ে আসা হয়েছে প্রাক্তন সচিব অঞ্জন মিত্রর মেয়ে সোহিনীকে। আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে এদিন কমিটিতে আসেন কাশীনাথ দাস।