প্রতিবেদন : দিনদুপুরে মহানগরীর ব্যস্ত এলাকা থেকে বসিরহাটের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিল ভুয়ো পুলিশ। শুধু অপহরণ নয়, ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুলিশের অসাধারণ তৎপরতায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টালিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করল অপহৃত ব্যবসায়ীকে। এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পুলিশের স্টিকার লাগানো দু’টি গাড়ি। ঘটনার নেপথ্যে ব্যবসায়িক শত্রুতা বলে পুলিশের অনুমান। অপহরণের ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকায় একটি নামী শপিং মলের সামনে। বুধবার দুপুরে। কুতুবুদ্দিন গাজি নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি বসিরহাটে।
আরও পড়ুন-বিজেপিতে ক্রমশ বাড়ছে বিদ্রোহ
শান্তিপল্লি এলাকায় শপিং মলের কাছে নিজের অফিসে এসেছিলেন তিনি। সাড়ে ১২টা নাগাদ দু’টি গাড়িতে ৮-১০ জন আচমকাই হাজির হয় সেখানে। নিজেদের ‘পুলিশ’ পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীকে টেনে গাড়িতে তোলে তারা। রাতে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ীর এক আত্মীয়। ফোনে ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পুলিশি তৎপরতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান শীর্ষ পুলিশকর্তারা।
আরও পড়ুন-রোপওয়েতে আর উঠবেন না পুতুল
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নির্দেশে এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যৌথ অভিযানে নেমে পড়ে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা এবং কসবা থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন যুগ্ম কমিশনার মুরলীধর শর্মা নিজে। সারারাত ধরে চলে অল্লাশি অভিযান। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকালে টালিগঞ্জের চারু মার্কেট এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী কুতুবুদ্দিন গাজিকে। পুলিশের জালে ধরা পড়ে বেশ কয়েকজন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী বসিরহাটের একটি ইটভাটার মালিক। আরও কয়েকটি ব্যবসা আছে তাঁর। প্রত্নসামগ্রীর ব্যবসার সঙ্গেও তিনি যুক্ত। এই অপহরণের নেপথ্যে ব্যবসার বিবাদ আছে।