প্রতিবেদন : মারিউপোল এখন স্বাধীন। ঘোষণা করে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহরকে ঝাঁঝরা করে তার দখল নেওয়ার পর পুতিনের সদম্ভ ঘোষণা, এমনভাবে মারিউপোলকে অবরুদ্ধ করো যেন তার ভিতর থেকে একটা মাছিও গলতে না পারে। জানা গিয়েছে, মারিউপোলের আজভস্টল ইস্পাত কারখানায় ২০০০ ইউক্রেনীয় সেনা ও বহু সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের কার্যত অবরুদ্ধ করে মারার পরিকল্পনা করেছেন যুদ্ধবাজ পুতিন।
আরও পড়ুন-পর্যটনে আগ্রহ প্রকাশ কেনিয়ার
বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে বৈঠক করার সময় পুতিন নির্দেশ দেন, আজভস্টল স্টিল কারখানাকে এমনভাবে ঘিরে ধরো যাতে একটি মাছিও গলতে না পারে। পুতিনের এই নির্দেশ থেকে এটা স্পষ্ট যে, আজভস্টল স্টিল কারখানায় আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনীয় সেনা ও সাধারণ মানুষকে তিলে তিলে মারার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবার সকালেই ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলের দখল নেয় রুশ সেনা। এই শহরকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করে রাশিয়া। প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেনের বহু সেনা ও সাধারণ মানুষ আজভস্টলের বৃহত্তম স্টিল কারখানার আশ্রয় নেন। শহরের দখল নেওয়ার পর প্রথমে ওই ইস্পাত কারখানায় আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোগুই। তবে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন পুতিন।
আরও পড়ুন-দেউচায় বিদেশি লগ্নি
ইউক্রেনের থেকে মারিউপোল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য রুশ সেনা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোগুইকে অভিনন্দন জানান তিনি। একইসঙ্গে পুতিন নির্দেশ দিয়েছেন, ওই কারখানার ভূগর্ভে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে এলাকাকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখতে হবে যাতে কেউ বেরোতে না পারে। অন্যদিকে মারিউপোল বেদখল হওয়ার পরেই আজভস্টলের স্টিল কারখানায় আটকে থাকা সাধারণ মানুষ ও জখম সেনাদের সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য অবিলম্বে মানবিক করিডর চালুর দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক। যদিও তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নয় রাশিয়া। মারিউপোল দখলে আসার পর ক্রিমিয়া যাওয়ার পথ সুগম হল রাশিয়ার। সেই কারণেই মারিউপোলের দখল নিতে মরিয়া ছিল পুতিন বাহিনী। অন্যদিকে মরণপণ লড়াইয়ের পরও হার মানতে হল জেলেনস্কির বাহিনীকে।