সংবাদদাতা, সুন্দরবন : চৈত্র-বৈশাখ মাস সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের মরশুম। এসময় খলিশা গাছে ফুল আসে। সেই ফুলের মধু সবথেকে সুস্বাদু বলে দাবি মউলেদের। এই মধুর চাহিদা সবথেকে বেশি। বাইন, কেওড়া, কাঁকড়া গাছে ফুল আসতে একটু দেরি হয়। করোনা অতিমারির জন্য দু’বছর রাজ্য বন দফতর সুন্দরবনে (Sundarbon) মধু সংগ্রহের অনুমতি দেয়নি। এ বছর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফের শুরু হয়েছে মধু সংগ্রহের কাজ। এবার মউলেদের জন্য সরকার ১ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থা করেছে। তাঁদের নিরাপত্তায় বনকর্মীরা জঙ্গলে টহল দিচ্ছেন। প্রত্যেক মউলেকে দেওয়া হয়েছে বিদেশি নাটকের চরিত্রের আদলে মুখোশ। যা পরে জঙ্গলে যাচ্ছেন তাঁরা। এবছর সরকারিভাবে মধুর ক্রয়মূল্য ১৮০ টাকা কেজি। এখনও পর্যন্ত সুন্দরবন (Sundarbon) ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি ও বসিরহাট রেঞ্জের ৪৩টি দলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দলে ৫ থেকে ১১ জন মউলে রয়েছেন। ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন বসিরহাট রেঞ্জের ২১টি দলে ১৪৫ জন, সজনেখালি রেঞ্জের ২২টি দলে ১৯৫ জন মউলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়েছেন সুন্দরবনের গহন অরণ্যে। প্রাথমিকভাবে ১৫ দিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে মধু সংগ্রহে। এই সময়ে সংগৃহীত মধু বন দফতরের কাছে জমা দিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মধু সংগ্রহে যাবেন মউলেরা। জঙ্গলে মধু সংগ্রহে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলেন। বাড়িতে মউলেদের পরিবার বেশ কিছু রীতিনীতি মেনে চলেন। মধু সংগ্রহ করতে যাওয়ার আগে মউলেরা একত্রিত হয়ে বনবিবির পুজো করেন। মধু সংগ্রহে গিয়ে যাতে কোনও বিপদ না হয়, সে জন্য এই পুজো।