প্রতিবেদন : বিজেপিও কি এবারে সাইনবোর্ডে পরিণত হতে চলেছে? কংগ্রেস-সিপিএমের পরে এবারে কি তাদের পালা? রাজ্যে কোন্দল আর বিদ্রোহ-বিধ্বস্ত গেরুয়া শিবিরের করুণ অবস্থা দেখে বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এমন সম্ভাবনাই। এবারে বিদ্রোহের সুর বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কথায়। বিজেপি সাংসদ হয়েও বাংলার পাটশিল্পকে বাঁচাতে প্রয়োজনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-দিতে হবে হলফনামা
এদিকে মণ্ডল কমিটি ঘোষণা নিয়ে দলের মধ্যে সংঘাত চরমে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। তমলুক সাংগঠনিক জেলার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং নন্দীগ্রামে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা সাহেব দাশ। অশোক দিন্দার সঙ্গে জেলার এক দলীয় বিধায়ক এবং জেলানেতার তিক্ততার কথা কারওরই অজানা নয়। ৪০ জন মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণার পরেই গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। কিছু পেটোয়া লোককে নিয়ে নিজের খেয়ালখুশিমতো চলছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-তৈরি অনুব্রত
মুর্শিদাবাদেও গেরুয়া শিবিরে অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে। সোমবার সুকান্ত মজুমদার যখন দলের কর্মসূচিতে অংশ নিতে মুর্শিদাবাদ পৌঁছলেন, তখন কলকাতায় রওনা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের গেরুয়া বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। রাজ্য বিজেপির সম্পাদক পদ ছাড়তে চেয়ে ইতিমধ্যেই তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতিকে। উত্তর এবং দক্ষিণ সাংগাঠনিক জেলার ২ সভাপতির সঙ্গে জেলার কিছু নেতার বিরোধ এখন তুঙ্গে।