সংবাদদাতা, কাটোয়া : তাপপ্রবাহের জেরে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হু হু করে নামছে ভূগর্ভের জলস্তর। জেলার ১০টি ব্লকের জলস্তর একেবারেই তলানিতে বলে কৃষি দফতর জানিয়েছে। এর মধ্যে কেতুগ্রামের দুটি, পূর্বস্থলী ২ এবং কালনা ২ ও ভাতার এই ৫ ব্লকের অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ (অত্যন্ত সঙ্কটজনক)। ৫টি ব্লক ‘সেমি-ক্রিটিক্যাল’ বা কম সঙ্কটজনক। এই ব্লকগুলিতে গভীর নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সেচের বিকল্প হিসেবে ১০ ব্লকে ক্ষুদ্র সেচে জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-পশুপাখিদের জন্য খাবার ও জল নিয়ে চলছে ‘বাপের হোটেল’, বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে অভিনব উপহার শিক্ষকের
এজন্য ব্লকগুলির মধ্যে থাকা ৬৯টি ছোট-বড় জলাশয়কে চিহ্নিত করেছে ওয়াটার রিসোর্স ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। জলসেচের কাজে লাগানো হবে কৃষকদের। সেচের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেবে কৃষি দফতর। জেলার সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘ভূগর্ভের জলের ব্যবহার কমানো, সেচের কাজে যথাসম্ভব কম জল ব্যবহারে কৃষকদের সচেতন করাই লক্ষ্য। জেলায় ৭০ লক্ষ হেক্টর জমি ক্ষুদ্রসেচের আওতায় আনা হয়েছে।’’ এদিকে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মধুপুর-ছাতনি কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির কাছে পাওনা ৩৭ লক্ষ টাকা বকেয়া থাকায় ট্রান্সফর্মার খুলে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।
আরও পড়ুন-৭ জেলায় তাপমাত্রা বেড়ে হতে পারে ৪৫ ডিগ্রি, অগ্নিবাণে জ্বলছে পশ্চিমাঞ্চল
ফলে এই সমবায়ের মধুপুর, ছাতনি, হাটসিউরি, পাঠানগ্রাম, বেলের হাট-সহ বিভিন্ন গ্রামের ২২টি অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। এখানকার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে প্রচুর আনাজ চাষ হয়। জলের অভাবে সেসব শুকিয়ে যাচ্ছে। ধান ও পাটের বীজতলা তৈরি করা যাচ্ছে না। বিডিও সৌমিক বাগচি জানান, ‘‘দ্রুত মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’