প্রয়াগরাজের খেবরাজপুরের নৃশংস গণহত্যার (Prayagraj Genocide) ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালো তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন সাংসদ দোলা সেন, ললিতেশ ত্রিপাঠি ও সাকেত গোখলে। চলতি সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে খেবরাজপুর গিয়েছিল সাংসদ দোলা সেনের নেতৃত্বাধীন তথ্যানুসন্ধান কমিটি। প্রয়াগরাজ-কাণ্ডে দুই মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও তার তদন্ত শুরু করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনকি, অভিযোগপত্রে ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করা হয়নি। শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ জানালো তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
এদিন মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ মিশ্র সহ অন্যান্যদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে খেবরাজপুর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মানবধিকার কমিশনকে অনুরোধও জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।ওই স্মারকলিপিতে মোট ১২টি বিষয় উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা । এর মধ্যে আক্রান্ত পরিবারের বাকি সদস্যদের জন্য পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, মানবাধিকার কমিশনের ফ্যক্টফাইন্ডিং টিম পাঠানো, ধর্ষণের ধারা যুক্ত করার মতো বিষয়গুলি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় গঠিত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি, দেখে নিন একনজরে
বৈঠক শেষে সংবাদদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল (TMC) সাংসদ দোলা সেন বলেন, ” আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মানবধিকার কমিশনের চার সদস্য। আমরা ওখানকার যত ভিডিও রেকর্ডিং, পেন ড্রাইভ সহ কমিশনে জমা দিয়েছি। অভিযোগ গ্রহণ করে ডাইরি নম্বর দিয়েছেন এবং রিসিভ করেছেন। আমরা বলেছি, আক্রান্ত পরিবারগুলো খুবই অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এখনও ধর্ষণের অভিযোগ যুক্ত করা হয়নি। একটি দুবছরের শিশু ও মারা গিয়েছে। আমরা বলেছি, দল হিসেবে তো আমরা গিয়েছি, এবার যাতে মানবধিকার কমিশনের অন্তত দুজন ঘটনাস্থলে যান।” তিনি আরও বলেন, ” আক্রান্ত পরিবারটি এখনও আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। কমিশনের প্রতিনিধি গেলে তাঁরা একটু ভরসা পাবেন।”
মানবধিকার কমিশন থেকে বৈঠক শেষে বেরিয়ে আলাপচারিতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দোলা সেন। তাঁর দাবি, কমিশন তাঁদের বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন তৃণমূল (Prayagraj Genocide- TMC) নেতৃত্ব। দোলা সেন বলেন, পরিচয় পর্বে এরকম কথা বলায় আমি অসন্তুষ্ট। ললিতেশ ত্রিপাঠী সংবাদমাধ্যমে জানান, কেন তৃণমূল নেতৃত্ব খেবরাজপুর গ্রামে ঢুকতে পারল তার জন্য পুলিশের থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তৃণমূলকে আটকাতে না পারায় পুলিশকে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার বলে জানান ললিতেশ ত্রিপাঠী।