মানস দাস,মালদহঃ নারী শিক্ষার অগ্রসর ঘটাতে চাঁচলে মহিলা কলেজ নির্মাণে উদ্যোগী হলো রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে মিলেছে অনুমতি। শুরু হয়েছে প্রস্তুতিও। ওই মহিলা কলেজের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে ৫ একর জমি দেখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন :ত্রিপুরা: সায়নীর সঙ্গে দেখা করার “অপরাধ”-এ চিকিৎসকের পরিবারের উপর হামলা বিজেপির
রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে উত্তর মালদার শিক্ষা মহলে এখন খুশির ঢেউ উঠেছে। উল্লেখ্য,করোনা আবহে গত দু’বছর ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনের মধ্যে চলছে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন। এমত অবস্থায় উত্তর মালদহে নারী শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হলো চাচোল একটি মহিলা কলেজ গঠন করার কথা। গৌড়বঙ্গের তিন জেলার মধ্যে বর্তমানে মাত্র দুটি মহিলা কলেজ রয়েছে। একটি মালদহ শহরে, অন্যটি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। উত্তর মালদহে একটি মহিলা কলেজ স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি উঠছিল। কারণ, চাঁচল থেকে মালদহ শহরের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার। চাঁচল লাগোয়া উত্তর দিনাজপুরে কোনও মহিলা কলেজ না থাকায় এই এলাকার ছাত্রীরা সেখানেও যেতে পারতেন না। এদিকে প্রতিদিন মালদহ শহরে যাতায়াত করাও তাঁদের পক্ষে অসুবিধেজনক। তাই তাঁরা এলাকাতেই একটি মহিলা কলেজের দাবি তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন : চরবৃত্তির বিবর্তনে পেগাসাসের উড়ান-কথা
তাঁদের সেই আশা এবার পূরণ হতে চলেছে। গত ১০ অগস্ট শিক্ষা দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে চাঁচল সংসদীয় ক্ষেত্রে পাঁচ একর জমি মহিলা কলেজের জন্য চিহ্নিত করতে বলেছেন। সেকথা চাউর হতেই শোরগোল পড়েছে চাঁচল সহ গোটা উত্তর মালদহে। চাঁচল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী পৃথা মজুমদার জানান, এতদিন এই এলাকার মেয়েদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মালদা মহিলা কলেজে পড়তে যেতে হত। এতে একদিকে সময়, অন্যদিকে টাকা খরচ হত। এই এলাকায় গরিব মানুষের বাস বেশি। এখানে মেয়েদের কলেজ হলে তারা এখানেই কলেজ লাইফ উপভোগ করতে পারবে। একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত ছাত্রী আতিফা ফারনা হক জানান, চাঁচলে মহিলা কলেজ হলে নারী শিক্ষা ব্যবস্থার মান আরো উন্নত হবে। মেয়েদেরকে ৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মালদহ ওমেন্স কলেজ পড়তে যেতে হয়। চাঁচলে সেই কলেজ হলে মহকুমার অনেক মেয়েদের সুবিধা। রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রস্তাবকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।