সংবাদদাতা, বারাসত : অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই তাঁর নাম রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়েছে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চটেছেন সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় (Riddhi Banerjee)। ক্ষুব্ধ, বিরক্ত ঋদ্ধি এবার এই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। একদিকে বেসুরো ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য বিজেপি ঠিক তখনই রবিবার গণইস্তফা (Mass Resignation) দিলেন বিজেপি (BJP) বারাসত সাংগঠনিক জেলার ১৫ জন সদস্য। ফলে মে দিবসে জোড়া ফলায় দিশাহারা বঙ্গের গেরুয়া শিবির। আগামী ৪ মে রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্ মন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে সংকটে আরও বাড়ল রাজ্য বিজেপিতে। এমমিতেই ক’দিন ধরে পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুনকে দিল্লিতে ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার মধ্যেই ফের বেসুরো হলেন শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কোনওরকম অনুমতি ছাড়া কেন রাজ্য কমিটিতে নাম রাখা হয়েছে? ক্ষুব্ধ শিল্পী চিঠিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁর নাম তালিকা থেকে যেন বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে থাকলে দম বন্ধ হয়ে যাবে
এদিকে, বারাসতে (Barasat) বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক জেলায় রবিবার বড়সড় ভাঙন ধরল। গণইস্তফা (Mass Resignation) দিলেন ১৫ জন সদস্য। বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়, চিত্ত বসাক, আশিস মজুমদার, নীলিমা দে সরকার, সুভাষচন্দ্র রায়, সজল দাস-সহ ১৫ জন সদস্য এদিন রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফা দেন। এখানেও নেতাদের বিরুদ্ধে উঠেছে সেই ‘কামিনী-কাঞ্চন’-এর অভিযোগ। তাপস মিত্র ‘কামিনী-কাঞ্চন’-এর বিনিময়ে অযোগ্য লোকেদের পদ এবং পুরভোটের টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিক্ষুব্ধদের। আদি বিজেপির নেতা-কর্মীদের দলীয় কর্মসূচি থেকে দূরে রাখা হয়েছে বলেও ইস্তফাপত্রে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাঁদের ইস্তফাপত্র তাঁরা এরমধ্যেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই তাপস মিত্র অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না বলে দায় সেরেছেন।
অর্জুন পর্বের মধ্যে ঋদ্ধি ও বারাসতের ঘটনা যে বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়াল তা বলাই যায়। পরের বছরই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ফের আরও একদফা ঘর ভাঙল বিজেপির।